Russia-Ukraine War: যুদ্ধ শুরুর ২৭ মাসের মাথায় এই প্রথম ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করল কোনও দেশ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: আসাদ মল্লিক

May 03, 2024 | 9:56 PM

War News: সাক্ষরকারী ১৬৫টি দেশ অঙ্গীকার করেছিল, তাঁরা কোনওভাবেই নতুন করে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি বা তার ব্যবহার করবে না। নিজেদের ভাঁড়ারে যা রাসায়নিক অস্ত্র আছে, ৪ বছরের মধ্যে তা নষ্ট করা নিয়েও একমত হয়েছিল ১৬৫ দেশ। তবে, কার কাছে কতগুলি রাসায়নিক অস্ত্র ছিল, সেটা কখনই প্রকাশ্যে আসেনি। সেটা জানানোর কোনও শর্তও চুক্তিতে ছিল না।

Follow Us

যুদ্ধ শুরুর ২৭ মাসের মাথায় এই প্রথমবার। এই প্রথমবার ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করল কোনও দেশ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর ঘোষণা, রাশিয়াকে থামানোর সময় এসেছে। কোনও দেশ এগিয়ে না এলেও ফ্রান্স চুপ থাকবে না। ম্যাক্রোর হুঁশিয়ারি, ইউক্রেন অনুরোধ করলে আমরা ফ্রান্সে সেনা পাঠাবো। সেনা ইউক্রেনে ঢুকবে। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করবে। ম্যাক্রো হঠাত্‍ করেই এতটা সাহসী হলেন, বিষয়টা এমন নয়। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে আমেরিকা। এদিন মার্কিন বিদেশ দফতরের দাবি, ইউক্রেনে ক্লোরোপিকরিন নামে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া। এটা ব্যবহারে মানুষের গা-জ্বালা করে। তারপর শ্বাসরোধ হওয়ার মতো অবস্থা। এই রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহারে মৃতের হার বেশ চড়া – ৮ শতাংশ। অর্থাত্‍ কোন এলাকায় এই গ্যাস প্রয়োগ হলে ১০০ জনের মধ্যে গড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে দাবি, ইউক্রেনের নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় মোতায়েন সেনারা ঘনঘন অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। তাঁদের বেশিরভাগের সিমটম একইরকম ছিল ও প্রত্যেকেই প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এদের কয়েকজনের নাক পরীক্ষা করে ক্লোরোপিকরিনের অস্তিত্ব মিলেছে। এখানে আপনাদের বলে রাখি, মানুষের শরীরে ক্লোরোপিকরিন ঢুকলেও পরীক্ষায় তার অস্তিত্ব পাওয়া খুব শক্ত। শুধু নাক ও কান থেকেই ক্লোরোপিকরিনের অস্তিত্ব বোঝা যায়। ক্লোরোপিকরিন তৈলাক্ত পদার্থ। দ্রুত ত্বকে মিশে যায়। কারও শরীরে ক্লোরোপিকরিন ঢুকলে প্রথমে মাথা ধরা ও পরে বমি আরম্ভ হয়। প্রথমে ১৯২৫ ও পরে ১৯৬৪ সালে যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে আন্তর্জাতিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। কোনও দেশ রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করছে কীনা, তা নিয়ে নজরদারির চালানোর জন্য একটি সংস্থাও তৈরি হয়। অর্গানাইজেশন অফ প্রহিবিশন অফ কেমিক্যাল ওয়েপেন বা OPCW. এই সংক্রান্ত শেষ চুক্তিটি হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। ১৯৯৭ সাল থেকে চুক্তি কার্যকর হয়েছে। সাক্ষরকারী ১৬৫টি দেশ অঙ্গীকার করেছিল, তাঁরা কোনওভাবেই নতুন করে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি বা তার ব্যবহার করবে না। নিজেদের ভাঁড়ারে যা রাসায়নিক অস্ত্র আছে, ৪ বছরের মধ্যে তা নষ্ট করা নিয়েও একমত হয়েছিল ১৬৫ দেশ। তবে, কার কাছে কতগুলি রাসায়নিক অস্ত্র ছিল, সেটা কখনই প্রকাশ্যে আসেনি। সেটা জানানোর কোনও শর্তও চুক্তিতে ছিল না। এই ২০২৪ সালে আমেরিকার সন্দেহ, রাশিয়া নিজেদের ভাঁড়ারে থাকা রাসায়নিক অস্ত্র নষ্ট করেনি। আগে চেচেন যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এখন ইউক্রেনের বিরুদ্ধেও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রথমবার ক্লোরোপিকরিন ব্যবহার করা হয়েছিল। ১১০ বছর পর আবারও কী সেই পুরনো অস্ত্রই ভাঁড়ার থেকে বের করলেন ভ্রাদিমির পুতিন? ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভের দাবি, সব কৌশল ব্যর্থ হতে দেখে এখন রাসায়নিক অস্ত্রের ধুয়ো তুলছে ইউরোপ- আমেরিকা। রাশিয়া প্রথম থেকে চুক্তি মেনে চলছে ও চলবে। পেসকভের কটাক্ষ, রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র জমিয়ে রেখেছে অথচ OPCW সেটা জানে না? এমন হলে তো ওই সংস্থা ভেঙে দিতে হয়। দেখুন ইউক্রেন যুদ্ধ আরও ছড়াবে কীনা বা সত্যিই ফ্রান্সের সেনা ইউক্রেনে ঢুকবে কীনা, এগুলোর বাইরে এখন রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে ভাবতে হবে রাষ্ট্রনেতাদের। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র দুনিয়ার সবচেয়ে প্রাণঘাতী সাইলেন্ট কিলার। একে রুখতে না পারলে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে। তাই আমি বলব, এই মুহূর্তে বাকি সব ছেড়ে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বন্ধে নতুন করে ভাবতে হবে। ভাবতেই হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইদানিং মাঝেমাঝেই মুখ ফস্কে নানারকম কথা বলে ফেলেন। একাশি বছর বয়স। বয়সের কারণেই স্লিপ অফ টাং বলে মার্কিন মুলুকে রঙ্গ-রসিকতার ছড়াছড়ি। তো এই বয়সেও তিনি আবার ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। গিয়েছিলেন ওয়াশিংটনে ভোটের জন্য তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে। সেখানে বলে বসলেন ভারত। জাপান। চিন ও রাশিয়ার অর্থনীতি ধাক্কা খাচ্ছে। কারণ এই দেশগুলো জেনোফোবিক। গ্রিক শব্দ জেনোসের মানে অচেনা ব্যক্তি। আর ফোবোসের মানে ভয়। দুয়ে মিলে জেনোফোবিয়া। মানে বিদেশিদের ভয় পাওয়া বা অপছন্দ করা। বাইডেন বলেছেন আমরা জেনোফোবিক নই। তাই আমরা আর্থিক দিক থেকে এত উন্নতি করেছি। আমি প্রথমে যেটা বলব। এটা সত্যি যে আজ আমেরিকার এত উন্নতির পিছনে অভিবাসীদের অবদান অপরিসীম। ফলে নিজের দেশ সম্পর্কে বাইডেন কিছু ভুল বলেননি। কিন্তু তিনি ভারতকে টেনে আনতে গেলেন কেন। ভারতের ডাইভার্সিটির কথা কি তিনি জানেন না। তিনি কি জানেন না সেই এরিয়ান সিভিলাইজেশনের সময় থেকে বাইরের মানুষকে বরাবর আপন করে নিয়েছে ভারতবর্ষ। অন্যদিক থেকে যদি বলি আমেরিকার জনসংখ্যা ৩৫ কোটি। জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৭ জন। ভারতে জনসংখ্যা
১৪২ কোটি। জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৮০ জন। আমরা যদি দরজা বন্ধ না করে একটু ভেজিয়ে রাখি। তাহলে কী ভুল করা হবে। আর অর্থনীতির সমস্যার কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এইবছরে ভারতের প্রজেক্টেড গ্রোথ রেট ৬ শতাংশের ওপর। আমেরিকার মাত্র আড়াই শতাংশ। মার্কিন অর্থনীতির বহর নিঃসন্দেহে আমাদের চেয়ে বেশি। কিন্তু তাই বলে কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলতে পারেন যে ভারতের অর্থনীতি ধাক্কা খাচ্ছে। সোজা কথায় বাইডেন ডাহা ভুলভাল কথা বলে ফেলেছেন। তাঁর কম্পালসন আমি বুঝি। জনমত সমীক্ষা বলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে। তিনি আমেরিকার সব সমস্যার জন্য বেআইনি অভিবাসনকে দায়ী করছেন। আমেরিকার প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষেরও মত যে ইমিগ্র্যান্টরা তাঁদের রুটি-রুজি কেড়ে নিচ্ছেন। ফলে অভিবাসন নিয়ে তুলনামূলকভাবে উদার ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিজের দলের নীতির পক্ষেই যুক্তি দিতে চেয়েছেন। আর বাইডেনের এই ধরনের বেফাঁস কথা সমস্যায় ফেলে দিয়েছে তাঁর প্রশাসনকে। ভারত ও জাপানের সঙ্গে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। দু-দেশই কোয়াডের মঞ্চে আমেরিকার সঙ্গে আছে। চিন-রাশিয়ার সঙ্গে না হয় আমেরিকার সম্পর্ক ভাল নয়। কিন্তু ভারত ও জাপান সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য। সমস্যায় পড়ে গিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট মোটেই কোনও দেশের দিকে আঙুল তোলেননি। তিনি সাধারণভাবে আমেরিকার উন্নতিতে অভিবাসীদের অবদানের কথা বলতে চেয়েছিলেন। ভারত-জাপানের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আমরা দুই দেশের মূল্যবোধকে সম্মান করি। আমি শুধু বলব বিষয়টা যদি ক্লোজড চ্যাপটার হয়েও যায়। তাহলেও ভবিষ্যতের মার্কিন প্রেসিডেন্টরা ভারত সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা বলার আগে দু-বার ভেবে
নেন। নাহলে নিজেদেরই আবার পরে ঢোঁক গিলতে হবে।

যুদ্ধ শুরুর ২৭ মাসের মাথায় এই প্রথমবার। এই প্রথমবার ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করল কোনও দেশ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর ঘোষণা, রাশিয়াকে থামানোর সময় এসেছে। কোনও দেশ এগিয়ে না এলেও ফ্রান্স চুপ থাকবে না। ম্যাক্রোর হুঁশিয়ারি, ইউক্রেন অনুরোধ করলে আমরা ফ্রান্সে সেনা পাঠাবো। সেনা ইউক্রেনে ঢুকবে। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করবে। ম্যাক্রো হঠাত্‍ করেই এতটা সাহসী হলেন, বিষয়টা এমন নয়। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছে আমেরিকা। এদিন মার্কিন বিদেশ দফতরের দাবি, ইউক্রেনে ক্লোরোপিকরিন নামে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে রাশিয়া। এটা ব্যবহারে মানুষের গা-জ্বালা করে। তারপর শ্বাসরোধ হওয়ার মতো অবস্থা। এই রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহারে মৃতের হার বেশ চড়া – ৮ শতাংশ। অর্থাত্‍ কোন এলাকায় এই গ্যাস প্রয়োগ হলে ১০০ জনের মধ্যে গড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে দাবি, ইউক্রেনের নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় মোতায়েন সেনারা ঘনঘন অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। তাঁদের বেশিরভাগের সিমটম একইরকম ছিল ও প্রত্যেকেই প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। এদের কয়েকজনের নাক পরীক্ষা করে ক্লোরোপিকরিনের অস্তিত্ব মিলেছে। এখানে আপনাদের বলে রাখি, মানুষের শরীরে ক্লোরোপিকরিন ঢুকলেও পরীক্ষায় তার অস্তিত্ব পাওয়া খুব শক্ত। শুধু নাক ও কান থেকেই ক্লোরোপিকরিনের অস্তিত্ব বোঝা যায়। ক্লোরোপিকরিন তৈলাক্ত পদার্থ। দ্রুত ত্বকে মিশে যায়। কারও শরীরে ক্লোরোপিকরিন ঢুকলে প্রথমে মাথা ধরা ও পরে বমি আরম্ভ হয়। প্রথমে ১৯২৫ ও পরে ১৯৬৪ সালে যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে আন্তর্জাতিক চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। কোনও দেশ রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করছে কীনা, তা নিয়ে নজরদারির চালানোর জন্য একটি সংস্থাও তৈরি হয়। অর্গানাইজেশন অফ প্রহিবিশন অফ কেমিক্যাল ওয়েপেন বা OPCW. এই সংক্রান্ত শেষ চুক্তিটি হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। ১৯৯৭ সাল থেকে চুক্তি কার্যকর হয়েছে। সাক্ষরকারী ১৬৫টি দেশ অঙ্গীকার করেছিল, তাঁরা কোনওভাবেই নতুন করে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি বা তার ব্যবহার করবে না। নিজেদের ভাঁড়ারে যা রাসায়নিক অস্ত্র আছে, ৪ বছরের মধ্যে তা নষ্ট করা নিয়েও একমত হয়েছিল ১৬৫ দেশ। তবে, কার কাছে কতগুলি রাসায়নিক অস্ত্র ছিল, সেটা কখনই প্রকাশ্যে আসেনি। সেটা জানানোর কোনও শর্তও চুক্তিতে ছিল না। এই ২০২৪ সালে আমেরিকার সন্দেহ, রাশিয়া নিজেদের ভাঁড়ারে থাকা রাসায়নিক অস্ত্র নষ্ট করেনি। আগে চেচেন যুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এখন ইউক্রেনের বিরুদ্ধেও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রথমবার ক্লোরোপিকরিন ব্যবহার করা হয়েছিল। ১১০ বছর পর আবারও কী সেই পুরনো অস্ত্রই ভাঁড়ার থেকে বের করলেন ভ্রাদিমির পুতিন? ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভের দাবি, সব কৌশল ব্যর্থ হতে দেখে এখন রাসায়নিক অস্ত্রের ধুয়ো তুলছে ইউরোপ- আমেরিকা। রাশিয়া প্রথম থেকে চুক্তি মেনে চলছে ও চলবে। পেসকভের কটাক্ষ, রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র জমিয়ে রেখেছে অথচ OPCW সেটা জানে না? এমন হলে তো ওই সংস্থা ভেঙে দিতে হয়। দেখুন ইউক্রেন যুদ্ধ আরও ছড়াবে কীনা বা সত্যিই ফ্রান্সের সেনা ইউক্রেনে ঢুকবে কীনা, এগুলোর বাইরে এখন রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে ভাবতে হবে রাষ্ট্রনেতাদের। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাসায়নিক অস্ত্র দুনিয়ার সবচেয়ে প্রাণঘাতী সাইলেন্ট কিলার। একে রুখতে না পারলে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে। তাই আমি বলব, এই মুহূর্তে বাকি সব ছেড়ে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার বন্ধে নতুন করে ভাবতে হবে। ভাবতেই হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইদানিং মাঝেমাঝেই মুখ ফস্কে নানারকম কথা বলে ফেলেন। একাশি বছর বয়স। বয়সের কারণেই স্লিপ অফ টাং বলে মার্কিন মুলুকে রঙ্গ-রসিকতার ছড়াছড়ি। তো এই বয়সেও তিনি আবার ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন। গিয়েছিলেন ওয়াশিংটনে ভোটের জন্য তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে। সেখানে বলে বসলেন ভারত। জাপান। চিন ও রাশিয়ার অর্থনীতি ধাক্কা খাচ্ছে। কারণ এই দেশগুলো জেনোফোবিক। গ্রিক শব্দ জেনোসের মানে অচেনা ব্যক্তি। আর ফোবোসের মানে ভয়। দুয়ে মিলে জেনোফোবিয়া। মানে বিদেশিদের ভয় পাওয়া বা অপছন্দ করা। বাইডেন বলেছেন আমরা জেনোফোবিক নই। তাই আমরা আর্থিক দিক থেকে এত উন্নতি করেছি। আমি প্রথমে যেটা বলব। এটা সত্যি যে আজ আমেরিকার এত উন্নতির পিছনে অভিবাসীদের অবদান অপরিসীম। ফলে নিজের দেশ সম্পর্কে বাইডেন কিছু ভুল বলেননি। কিন্তু তিনি ভারতকে টেনে আনতে গেলেন কেন। ভারতের ডাইভার্সিটির কথা কি তিনি জানেন না। তিনি কি জানেন না সেই এরিয়ান সিভিলাইজেশনের সময় থেকে বাইরের মানুষকে বরাবর আপন করে নিয়েছে ভারতবর্ষ। অন্যদিক থেকে যদি বলি আমেরিকার জনসংখ্যা ৩৫ কোটি। জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৭ জন। ভারতে জনসংখ্যা
১৪২ কোটি। জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৪৮০ জন। আমরা যদি দরজা বন্ধ না করে একটু ভেজিয়ে রাখি। তাহলে কী ভুল করা হবে। আর অর্থনীতির সমস্যার কথা বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এইবছরে ভারতের প্রজেক্টেড গ্রোথ রেট ৬ শতাংশের ওপর। আমেরিকার মাত্র আড়াই শতাংশ। মার্কিন অর্থনীতির বহর নিঃসন্দেহে আমাদের চেয়ে বেশি। কিন্তু তাই বলে কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলতে পারেন যে ভারতের অর্থনীতি ধাক্কা খাচ্ছে। সোজা কথায় বাইডেন ডাহা ভুলভাল কথা বলে ফেলেছেন। তাঁর কম্পালসন আমি বুঝি। জনমত সমীক্ষা বলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে। তিনি আমেরিকার সব সমস্যার জন্য বেআইনি অভিবাসনকে দায়ী করছেন। আমেরিকার প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষেরও মত যে ইমিগ্র্যান্টরা তাঁদের রুটি-রুজি কেড়ে নিচ্ছেন। ফলে অভিবাসন নিয়ে তুলনামূলকভাবে উদার ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিজের দলের নীতির পক্ষেই যুক্তি দিতে চেয়েছেন। আর বাইডেনের এই ধরনের বেফাঁস কথা সমস্যায় ফেলে দিয়েছে তাঁর প্রশাসনকে। ভারত ও জাপানের সঙ্গে আমেরিকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। দু-দেশই কোয়াডের মঞ্চে আমেরিকার সঙ্গে আছে। চিন-রাশিয়ার সঙ্গে না হয় আমেরিকার সম্পর্ক ভাল নয়। কিন্তু ভারত ও জাপান সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য। সমস্যায় পড়ে গিয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ব্যাখ্যা দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট মোটেই কোনও দেশের দিকে আঙুল তোলেননি। তিনি সাধারণভাবে আমেরিকার উন্নতিতে অভিবাসীদের অবদানের কথা বলতে চেয়েছিলেন। ভারত-জাপানের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আমরা দুই দেশের মূল্যবোধকে সম্মান করি। আমি শুধু বলব বিষয়টা যদি ক্লোজড চ্যাপটার হয়েও যায়। তাহলেও ভবিষ্যতের মার্কিন প্রেসিডেন্টরা ভারত সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা বলার আগে দু-বার ভেবে
নেন। নাহলে নিজেদেরই আবার পরে ঢোঁক গিলতে হবে।

Next Video