Arambagh News: শিক্ষা নাকি ছেলেখেলা?
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে ছোট্ট ছোট্ট ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাস করছে। শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা স্কুল ইন্সপেক্টর অফিস থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে জানিও সূরাহা হয়নি। অবশেষে tv9 বাংলার প্রতিনিধির দ্বারস্থ গ্রামের মানুষজন।
ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা গ্রামের প্রাথমিক সরকারী বিদ্যালয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পড়াশোনা করছে। আতঙ্কিত শিক্ষকরা ও। বারবার বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে আতঙ্কে থাকার কারণ দর্শিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন । জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরেও কোন কাজই হয়নি। ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক রাও আতঙ্কে আছেন। কেন এই আতঙ্ক? গোপালবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েকটি গ্রামের ছোট্ট ছোট্ট ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করে। বিদ্যালয় ভবনটির এমনই অবস্থা যেকোনো সময়ই ছাত্র-ছাত্রীরা দেওয়াল চাপা পড়তে পারে বলছেন শিক্ষক থেকে অভিভাবকরা। দেওয়াল ও ছাদ থেকে চুইয়ে চুইয়ে জল পড়ায় দেওয়ালের সঙ্গে ছাদের কংক্রিট বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কোনক্রমে দাঁড়িয়ে আছে, ক্লাস রুমের দেওয়াল। ছোটদের বিদ্যালয়ে কেন দেওয়াল মেরামত করা হবে না। যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে দেওয়ালসহ বিদ্যালয়ের একাংশ। বারবার প্রশাসনিক দপ্তরে জানিয়ে কোন কাজ না হওয়ায় tv9 বাংলার প্রতিনিধিকে বিষয়টি জানান গ্রামবাসীরা। আর গ্রামবাসীদের অভিযোগ নিয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শকের সার্কেল অফিসে গিয়ে দেখা গেল শুনশান স্কুল ইন্সপেক্টর অফিস। একজন মাত্র অস্থায়ী কর্মচারী আছেন গেটে। তিনি ক্যামেরার মুখোমুখি হতে চাইলেন না অস্থায়ী বলে যে কোন সময় কাজ চলে যাওয়ার ভয়ে। তবে ভেতরে গিয়ে দেখা গেল বিদ্যালয় পরিদর্শকের কম্পিউটার চলে যাচ্ছে পরিদর্শক উপস্থিত নেই। নেই কোন অফিস কর্মচারীও। এই মতো অবস্থায় প্রশ্ন গ্রামবাসীদের কথা শুনবে কে TV9 বাংলার প্রতিনিধি নিজেই দেখতে পেল না স্কুল ইন্সপেক্টরকে ও অফিসের অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের।
এখন প্রশ্ন উঠেছে এই ভাবেই কি আস্তে আস্তে সরকারি বিদ্যালয়গুলি বন্ধ হয়ে যাবে? দুর্ঘটনা ঘটলে তবেই কি প্রশাসনের টনক নড়বে? নামে বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিস হচ্ছেটা কি?