Indian Army, T-72 Tank: লাদাখে দুর্ঘটনার কবলে ‘অজেয়’, মৃত্যু ৫ সেনা জওয়ানের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সুপ্রিয় ঘোষ

Jun 29, 2024 | 9:48 PM

গত কয়েকদিন ধরে দৌলত বেগ ওল্ডির কাছে নওমা- চুশুলে ট্যাঙ্ক মহড়া চলছিল। নতুন কিছু নয়, এই এলাকায় নিয়মিতই এমন মহড়া চলে। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে রাতেও মহড়া দেয়। শুক্রবার সূর্য ডোবার পরে ট্যাঙ্কের মহড়া হচ্ছিল। সেই সময়ই বিপর্যয়।

Follow Us

লাদাখ থেকে একটা খারাপ খবর। লাদাখে ট্যাঙ্কের মহড়ার সময় নদী পেরতে গিয়ে মারা গেলেন পাঁচ ভারতীয় সেনা জওয়ান। সেনার বিবৃতিতে দাবি, পূর্ব লাদাখে দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটির খুব কাছে শায়ক নদীতে আটকে পড়ে সেনার পড়ে ভারতীয় সেনার T-72 ট্যাঙ্ক। হঠাত্‍ নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থা। সেনার বক্তব্য, খুব অল্প সময়ে নদীর জল অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। তাই রেসকিউ টিমের পক্ষেও কিছু করা সম্ভব হয়নি। নিহতদের মধ্যে চার অফিসার ছাড়াও রয়েছেন এক জুনিয়র অফিসার। সেনার সাহসিকতাকে কুর্নিশ করে ও নিহতদের পরিবারকে সমবেদন জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

গত কয়েকদিন ধরে দৌলত বেগ ওল্ডির কাছে নওমা- চুশুলে ট্যাঙ্ক মহড়া চলছিল। নতুন কিছু নয়, এই এলাকায় নিয়মিতই এমন মহড়া চলে। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে রাতেও মহড়া দেয়। শুক্রবার সূর্য ডোবার পরে ট্যাঙ্কের মহড়া হচ্ছিল। সেই সময়ই বিপর্যয়। নদী পেরতে গিয়ে ট্যাঙ্ক যখন আটকে পড়ে, তখন কীভাবে উদ্ধার করা হয়? এক্ষেত্রে সেটা করা গেল না কেন? ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বলেন, অন্য জায়গায় এই ঘটনা ঘটলে হয়তো উদ্ধার করা যেত। নওমা- চুশুল বলেই সেটা সম্ভব হয়নি। প্রচন্ড খরস্রোতা এই নদীগুলিতে জল বাড়লে ভগবানই ভরসা। কৌশলগতভাবে নওমা-চুশুলকে অনেকেই বলেন, এলএসি-র টার্নিং পয়েন্ট। এখানে দৌলত বেগ ওল্ডির মতো বিমানঘাঁটি আছে। আর আছে কমবেশি ১২টি ছোটবড় খরস্রোতা নদী। পাহাড়ঘেরা এই নদীগুলি দিয়ে যাতায়াতই অত্যন্ত বিপজ্জনক। এতটাই যে জলে হাত দিলে ইলেকট্রিক শক লাগার মতো অনুভূতি হবে। এইসব নদীতে হড়পা বানও খুব স্বাভাবিক ঘটনা। অথচ সেখানে কখনও ট্যাঙ্ক নিয়ে, কখন স্রেফ সাঁতরে মহড়া দিতে হয় সেনাকে। এখানেই মোতায়েন থাকে ভারতীয় সেনার ট্যাঙ্ক ডিভিশন। মূলত T-72 ট্যাঙ্ক নিয়েই এই ডিভিশন তৈরি।

T-72 আসলে রাশিয়ার তৈরি ট্যাঙ্ক। আশির দশক থেকে ভারতীয় সেনায় এর ব্যবহার শুরু হয়। আমাদের দেশে এই ট্যাঙ্কের ডাকনাম অজেয়। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওজনে এই ট্যাঙ্ক বেশ কিছুটা ভারি। লাদাখের মতো এলাকায় যুদ্ধের জন্য এই সিরিজের ট্যাঙ্ক খুব একটা কার্যকর নয় বলেও দাবি তাঁদের। কিন্তু সেটা যদি ঠিকও হয়, তা হলেও ভারতের কিছু করার নেই। কেননা, ভারতের হাতে এখনই যথেষ্ট পরিমাণে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক নেই। গত কয়েক বছরে এলএসি-র বিভিন্ন অংশে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক মোতায়েনে জোর দিয়েছে সেনা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রক ঘোষণা করে, রুশ প্রযুক্তিতে 72 সিরিজের বদলে ভারতীয় প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক তৈরি হবে। এমন ৯০০ ট্যাঙ্ক ও ৮০০টি সাঁজোয়া গাড়ি কিনতে ৫৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দও করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ২০৩০ সালের মধ্যেই সেনার সেসব হাতে পাওয়ার কথা। আর আগে এবছর ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে সেনার হাতে আসবে অর্জুন মার্ক ওয়ান ট্যাঙ্ক। এগুলি লাদাখ সহ যে কোনও ভৌগলিক পরিস্থিতিতে লড়ার উপযোগী হিসাবেই তৈরি হচ্ছে। গত বছর লেহ-তে দুর্ঘটনায় নয় সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। দূর্গম পাহাড়ি পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে আর্মি কনভয়। দশ মাসের মাথায় আবারও এলএসি-তে প্রকৃতির ধাক্কার মুখে পড়ল সেনা।

লাদাখ থেকে একটা খারাপ খবর। লাদাখে ট্যাঙ্কের মহড়ার সময় নদী পেরতে গিয়ে মারা গেলেন পাঁচ ভারতীয় সেনা জওয়ান। সেনার বিবৃতিতে দাবি, পূর্ব লাদাখে দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটির খুব কাছে শায়ক নদীতে আটকে পড়ে সেনার পড়ে ভারতীয় সেনার T-72 ট্যাঙ্ক। হঠাত্‍ নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় এই অবস্থা। সেনার বক্তব্য, খুব অল্প সময়ে নদীর জল অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। তাই রেসকিউ টিমের পক্ষেও কিছু করা সম্ভব হয়নি। নিহতদের মধ্যে চার অফিসার ছাড়াও রয়েছেন এক জুনিয়র অফিসার। সেনার সাহসিকতাকে কুর্নিশ করে ও নিহতদের পরিবারকে সমবেদন জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

গত কয়েকদিন ধরে দৌলত বেগ ওল্ডির কাছে নওমা- চুশুলে ট্যাঙ্ক মহড়া চলছিল। নতুন কিছু নয়, এই এলাকায় নিয়মিতই এমন মহড়া চলে। গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে রাতেও মহড়া দেয়। শুক্রবার সূর্য ডোবার পরে ট্যাঙ্কের মহড়া হচ্ছিল। সেই সময়ই বিপর্যয়। নদী পেরতে গিয়ে ট্যাঙ্ক যখন আটকে পড়ে, তখন কীভাবে উদ্ধার করা হয়? এক্ষেত্রে সেটা করা গেল না কেন? ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত এক আধিকারিক বলেন, অন্য জায়গায় এই ঘটনা ঘটলে হয়তো উদ্ধার করা যেত। নওমা- চুশুল বলেই সেটা সম্ভব হয়নি। প্রচন্ড খরস্রোতা এই নদীগুলিতে জল বাড়লে ভগবানই ভরসা। কৌশলগতভাবে নওমা-চুশুলকে অনেকেই বলেন, এলএসি-র টার্নিং পয়েন্ট। এখানে দৌলত বেগ ওল্ডির মতো বিমানঘাঁটি আছে। আর আছে কমবেশি ১২টি ছোটবড় খরস্রোতা নদী। পাহাড়ঘেরা এই নদীগুলি দিয়ে যাতায়াতই অত্যন্ত বিপজ্জনক। এতটাই যে জলে হাত দিলে ইলেকট্রিক শক লাগার মতো অনুভূতি হবে। এইসব নদীতে হড়পা বানও খুব স্বাভাবিক ঘটনা। অথচ সেখানে কখনও ট্যাঙ্ক নিয়ে, কখন স্রেফ সাঁতরে মহড়া দিতে হয় সেনাকে। এখানেই মোতায়েন থাকে ভারতীয় সেনার ট্যাঙ্ক ডিভিশন। মূলত T-72 ট্যাঙ্ক নিয়েই এই ডিভিশন তৈরি।

T-72 আসলে রাশিয়ার তৈরি ট্যাঙ্ক। আশির দশক থেকে ভারতীয় সেনায় এর ব্যবহার শুরু হয়। আমাদের দেশে এই ট্যাঙ্কের ডাকনাম অজেয়। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওজনে এই ট্যাঙ্ক বেশ কিছুটা ভারি। লাদাখের মতো এলাকায় যুদ্ধের জন্য এই সিরিজের ট্যাঙ্ক খুব একটা কার্যকর নয় বলেও দাবি তাঁদের। কিন্তু সেটা যদি ঠিকও হয়, তা হলেও ভারতের কিছু করার নেই। কেননা, ভারতের হাতে এখনই যথেষ্ট পরিমাণে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক নেই। গত কয়েক বছরে এলএসি-র বিভিন্ন অংশে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক মোতায়েনে জোর দিয়েছে সেনা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রক ঘোষণা করে, রুশ প্রযুক্তিতে 72 সিরিজের বদলে ভারতীয় প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্ক তৈরি হবে। এমন ৯০০ ট্যাঙ্ক ও ৮০০টি সাঁজোয়া গাড়ি কিনতে ৫৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দও করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ২০৩০ সালের মধ্যেই সেনার সেসব হাতে পাওয়ার কথা। আর আগে এবছর ডিসেম্বর থেকে ধাপে ধাপে সেনার হাতে আসবে অর্জুন মার্ক ওয়ান ট্যাঙ্ক। এগুলি লাদাখ সহ যে কোনও ভৌগলিক পরিস্থিতিতে লড়ার উপযোগী হিসাবেই তৈরি হচ্ছে। গত বছর লেহ-তে দুর্ঘটনায় নয় সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। দূর্গম পাহাড়ি পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে আর্মি কনভয়। দশ মাসের মাথায় আবারও এলএসি-তে প্রকৃতির ধাক্কার মুখে পড়ল সেনা।

Next Video