Indo-China Army Meet: সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা, বৈঠকে ড্রাগনের মুখে লাগাম পরাবে ভারত?

TV9 Bangla Digital

TV9 Bangla Digital | Edited By: Ashad Mallick

Updated on: Jul 17, 2022 | 5:05 PM

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ানোর পর থেকে চিনের ওপর খাপ্পা কম বেশি বহু দেশই। দক্ষিণ চিন সাগরে দখলদারি হোক বা করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য গোপন, একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে বেজিং। এমনকি শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতি এবং শিনজো আবের হত্যার নেপথ্যেও চিনের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল।

লাদাখ: পূর্ব লাদাখে লাল ফৌজের উস্কানির মধ্যেই ফের আলোচনার টেবিলে ভারত-চিন। সীমান্ত বিবাদ মেটাতে দু’দেশের কমান্ডার পর্যায়ের ১৬তম বৈঠক শুরু। বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা সরানোর দাবি প্রথম থেকেই করে এসেছে ভারত। এবারের বৈঠকে অবশেষে মিলবে সমাধান সূত্র? অপেক্ষায় সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা। ফ্রিকশন পয়েন্ট থেকে সেনা সরানোর জন্য বেজিংয়ের ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে নয়া দিল্লি। আর সেক্ষেত্রে নয়া কৌশল অবলম্বনের পথে মোদী সরকার। দীর্ঘ চারমাস পর ফের বৈঠকে দুই দেশ। বেশ কয়েকটি বিষয়ে বেকায়দায় রয়েছে চিন, আর তাই এই বৈঠক যে ড্রাগন দেশের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, তা স্পষ্ট বুঝতে পারছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সীমান্ত বিবাদ মেটাতে আগামী ১৭ জুলাই বৈঠকের কথা দু’দেশের মধ্যে। সংঘর্ষের পর থেকেই সীমান্ত লড়াইয়ের ঠাণ্ডা টানাপোড়েন অব্যাহত ভারত-চিনের মধ্যে। ইতিপূর্বে গত ২ বছরে ১৫ বার বৈঠকে বসেছে লাল ফৌজ ও ভারতীয় সেনা। শেষ বৈঠক হয় এ বছরের ১১ মার্চ। এরপর প্যাংগংয়ের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত, গালওয়ান ও গোগরা হট স্প্রিং-এ কিছুটা হলেও কমেছে উত্তেজনা। যদিও এখনও হট স্প্রিংয়ের ১৫ নম্বর পেট্রলিং পয়েন্ট, দেপসাং, দেমচকে রয়ে গেছে জটিলতা। দিল্লির অনুরোধেও হয়নি কাজ, সেনা সরায়নি চিন। উল্টে গোগরায় ঘাঁটি গেড়েছে ড্রাগন সেনা!

রবিবারের বৈঠকে ফের গোগরা নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করবে ভারত, খবর সূত্রের। ‘চিন LAC থেকে সেনা সরাতে বাধ্য হবে এবং এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী’, বার্তা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ওমপ্রকাশ মিশ্রের। প্রসঙ্গত, গত ৭ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক হয়। লাদাখে অচলাবস্থা কাটাতে চিনের ওপরে এর আগেও চাপ বাড়িয়েছেন এস জয়শঙ্কর। যদিও বৈঠকে একতরফা বা একগুঁয়ে মনোভাব রাখলে যে চিন সমাধানের পথে এগোতে পারবে না, তা আগেই জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পাশে দাঁড়ানোর পর থেকে চিনের ওপর খাপ্পা কম বেশি বহু দেশই। দক্ষিণ চিন সাগরে দখলদারি হোক বা করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য গোপন, একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে বেজিং। এমনকি শ্রীলঙ্কা পরিস্থিতি এবং শিনজো আবের হত্যার নেপথ্যেও চিনের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল। এমতাবস্থায় বেশ এগিয়ে রয়েছে ভারত। লাদাখ সীমান্তে পরিকাঠামো শক্তিশালী করার পাশাপাশি দৌলত বেগ ওল্ডি পর্যন্ত প্রশস্ত রাস্তা তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছে নয়াদিল্লি। ইন্দো প্যাসিফিক দেশগুলোর সঙ্গে সখ্যতা বাড়ার দরুণ অ্যাডভান্টেজে ভারত। এমতাবস্থায় বৈঠকে চিনকে লাল ফৌজকে সরানোর জন্য রাজি করাতে পারবে ভারত? এখন দেখার এটাই।

Follow us on

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla