প্রবল গরম। খাবার জল নেই। আমরা জানি না গ্রাম বাংলার বেশ কিছু অঞ্চলের মানুষ কিভাবে বেঁচে থাকেন। জল শূন্য। খাবার জল আনতে হয় অনেক দূর থেকে। নিরুপায় হয়ে পুকুরের জলেই তেষ্টা নিবারণ। অনেকের মৃত্যুও হয়েছে। না, সরকারি কোনও ব্যবস্থা নেই। জয়দীপ বাবুর ছোট মেয়ে এই অবস্থা দেখে বলে আমরা জল নষ্ট করি আর এরা জল পায়না! আমরা কি এঁদের একটু জল দিতে পারি না? শুরু হয় বাবা মা জয়দীপ সগুনার লড়াই। এযুগের মেঘদূত । করোনার সময় খাবার দিতে গিয়ে জয়দীপ বাবু আর তাঁর পরিবার হতবাক হয়ে যান খাবার জলের পরিস্থিতি দেখে। সরকারি ব্যবস্থা নেই। অনেক খরচ। অগত্যা বাচ্চা বুড়ো পুকুরের জল খান। জল দিতে হবে । ছোট মেয়ে নাম দিল মেঘদূত । পরিবারের সকলে মিলে ঝাঁপিয়ে পড়লেন । এঁদের উদ্যম দেখে এগিয়ে এলেন গ্রামবাসীরাও। জমি দিলেন কেউ। পাওয়া গেল । পরিশ্রুত পানীয় জল । জয়দীপ মুখার্জি, মেঘদূত সংস্থা বলেন, টাকার যোগাড় করতে দম বেরিয়ে গেছে। কিন্তু এটাকে আমি আমার পরিবার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম।