Jalpaiguri: সরকারি হোমে বিপুল সমস্যা
দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ে সহায়সম্বলহীন মানুষের জন্য দেশ জুড়ে তৈরী হয়েছে শেল্টার হোম।তেমনই একটি হোম রয়েছে জলপাইগুড়ি শহরেও।পৌরসভা পরিচালিত এই হোমের নাম "আশ্রয়"।
দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ে সহায়সম্বলহীন মানুষের জন্য দেশ জুড়ে তৈরী হয়েছে শেল্টার হোম।তেমনই একটি হোম রয়েছে জলপাইগুড়ি শহরেও।পৌরসভা পরিচালিত এই হোমের নাম “আশ্রয়”। জলপাইগুড়ি পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের রেসকোর্স পাড়ায় অবস্থিত এই হোমটি ২০১৮ সালে চালু হয়। বর্তমানে এখানে জনা ৩০ মতো আবাসিক থাকেন। চার তলা বিশিষ্ট এই হোমটি দেখতে ঝাঁ চকচকে হলেও নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হোলো পানীয় জলের সমস্যা।রানিং ওয়াটার না থাকায় চার তলা থেকে নিচে নেমে জল নিতে হচ্ছে অসুস্থ বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের। এছাড়া খাবার দাবারের নিম্ন মানের। চিকিৎসা পরিসেবাও সময় মতো পাওয়া যায়না বলে জানা গেছে। আমরা গিয়ে দেখলাম বছর আশির ভবতোষ চন্দ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। বিছানায় পড়ে রয়েছেন। উঠে বসার মতো শক্তি হারিয়েছেন তিনি।খাবার খেতে পারছেন না। চিকিৎসক দেখানোর প্রয়োজন হলেও তাও মিলছে না। কিন্তু এই নিয়ে ক্যামেরার সামনে কেউ বক্তব্য রাখতে চাননি। যদিও এই সমস্ত তাদের ভাগ্যের পরিহাস বলে মেনে নিয়ে যা পাচ্ছেন তাতেই সন্তুষ্ট আবাসিকেরা। তারা জানেনই না দেশের শীর্ষ আদালতের রায় রয়েছে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যাবস্থা করার। উলটে পাছে তাদের এখান থেকে বের করে দিলে তাদের আবার রাস্তায় ঠাঁই হবে এই জাতীয় একটা ভয় তাদের মনের মধ্যে কাজ করে। আবাসিক সোমে খাতুন বলেন পানীয় জল নেই। রাস্তা থেকে জল নিয়ে যেতে হয়। খাবার অত্যন্ত নিম্ন মানের। আতপ চালের ভাত দেওয়া হয়। যা দিনের পর দিন খাওয়া খুব মুশকিল।আবাসিক বীজ মোহন আগরওয়ালা বলেন পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। এছাড়া আর যা পাই তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। আবাসিক রেখা সরকার বলেন গত কয়েকদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যা শুরু হয়েছে। এছাড়া আমরা এখানে ঠাঁই পেয়েছি সেটাই অনেক।প্রতিবেশী ব্যাবসায়ী পবন রজক অভিযোগ করে বলেন আবাসিকেরা তার কাছে প্রায়শই এসে নিম্ন মানের খাবার সহ বিভিন্ন পরিসেবা নিয়ে অভিযোগ করে। বাইরে থেকে চেয়েচিন্তে জিনিস সংগ্রহ করে এনে এখানেই রান্না করে খায়। কিন্তু তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ভয়ের চোটে জানায় না।পাছে তাদের এখান থেকে বার করে দেওয়া হয়।লাগাতার চলে আসা এই অনিয়ম গুলি নিয়ে একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিলেননা জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল। আমরা বিষয়গুলি নজরে আনতেই তিনি নড়েচড়ে বসেন। সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের তার চেম্বারে ডেকে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন।