Asansol Coal Transport Strike : কয়লাখনিতে লোহাচুরি!
কয়লা তো বটেই কোলিয়ারি থেকে লুঠ হয়ে যাচ্ছে লোহা পিতলের মত মূল্যবান সম্পত্তি। প্রায় ৭০/৮০ টন লোহার যন্ত্র গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে হাইবা ডাম্পারে চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু হেলদোল নেই ইসিএল কর্তৃপক্ষের। এবার রাষ্ট্রাযত্ত সম্পত্তি চুরির প্রতিবাদে নামলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের আন্দোলনের পাশে দাড়ালেন শ্রমিক সংগঠনগুলি।
আসানসোল : কয়লা তো বটেই কোলিয়ারি থেকে লুঠ হয়ে যাচ্ছে লোহা পিতলের মত মূল্যবান সম্পত্তি। প্রায় ৭০/৮০ টন লোহার যন্ত্র গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে হাইবা ডাম্পারে চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু হেলদোল নেই ইসিএল কর্তৃপক্ষের। এবার রাষ্ট্রাযত্ত সম্পত্তি চুরির প্রতিবাদে নামলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের আন্দোলনের পাশে দাড়ালেন শ্রমিক সংগঠনগুলি। বিশেষ করে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমদিত কেকেএসসি। কয়লা পরিবহন বন্ধ করে চলে আন্দোলন। সোমবার জামুরিয়া বেলবাধ কোলিয়ারিতে ঘটলো এই ঘটনা। এলাকায় দুষ্কৃতিদের দৌরাত্বে অতিষ্ঠ হয়ে স্থানীয়রা ইসিএলের পরিবহন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয়দের অভিযোগ বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এই বেলবাদ সাইডিং এলাকায় লোহা ও কয়লা চুরি করতে এসে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করছে । বিক্ষোভরত কেকেএসসি সম্পাদক সুবোধ বাউরী, স্থানীয় ভগীরথ প্রসাদ রায়ের দাবি, রবিবার রাত্রে বেলবাঁধ খনির সাইডিং এ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টন ওজনের লোহার চাকা রাখা ছিল যা চুরি হয়ে যায়। চুরির জন্য লোহা কাটার মেশিন, বড় হাইবা গাড়ী ব্যবহার করা হয়েছিল। এই চুরির ঘটনাটি সম্পূর্ণ করতে প্রায় চার থেকে পাঁচ ঘন্টা লাগা উচিত। কিন্তু এতক্ষণ ধরে চুরি হলো নিরাপত্তা রক্ষীরা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। প্রায় দিন বেলবাদ এলাকায় লোহা ও কয়লা চুরির মত ঘটনা ঘটছে। বহিরাগত দুষ্কৃতীরা আবাসনেও চুরিও করছে। তাদের অভিযোগ ইসিএল কর্তৃপক্ষের একাংশের মদতে স্থানীয় কিছু যুবকের সহায়তায় বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এই ধরনের অসামাজিক কাজ করে যাচ্ছে। ইসিএল প্রশাসনকে বারবার বলা সত্ত্বেও কোন লাভ না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে কুনুস্তোরিয়া এরিয়ার বেলবাঁধ সাইডিং এর সমস্ত পরিবহন বন্ধ করেছেন। ভগীরথ প্রসাদ জানান প্রায় তিন বছর ধরে এই বেলবাঁধ সাইডিং বন্ধ ছিল। তখন কোন চুরি ঘটনা ঘটনি। আবার সাইডিং এর কাজ চালু হওয়ার পর চুরির ঘটনা ঘটতে শুরু হল। অভিযোগ কর্তৃপক্ষের একাংশ সুপরিকল্পিতভাবে খনি বন্ধ করার জন্য এ ধরনের পরিকল্পনা করছেন। কলিয়ারি বন্ধ হয়ে গেলে বেলবাঁধ এলাকার সাধারণ মানুষ যেমন জল, আবাস সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই দুষ্কৃতীদের এই চক্রান্ত তারা হতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি।
বেলবাদ সাইডিং ইনচার্জ অশোক সিং জানান গতকাল রাত্রে চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত হবে।