প্লাস্টিক দূষণে একাধিক সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। মহাসাগর দূষণে বড় দূষক প্লাস্টিক। একটি নতুন গবেষণা অনুসারে, গোটা বিশ্বের সমুদ্রে ১৭১ ট্রিলিয়নও বেশি প্লাস্টিকের টুকরো ভাসছে। এর সম্মলিত ওজন ২.৩ মিলিয়ন টন! বিজ্ঞানীদের একটি দল ১৯৭৯ থেকে ২০১৯ এ ৪টি মহাসাগর থেকে প্রায় ১২,০০০ নমুনা সংগ্রহ করেছেন । আটলান্টিক, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর ও ভূমধ্যসাগর থেকে নমুনা সংগৃহীত হয়েছে । ২০০৫ থেকে সমুদ্রের প্লাস্টিক দূষণকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণার দাবি সাগরে বর্জ্য ফেলা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ২০৪০ নাগাদ সমুদ্রে প্লাস্টিকের পরিমাণ ৩গুণ বেড়ে যাবে । প্লস ওয়ানের জার্নালে প্রকাশিত তথ্য় অনুযায়ী, ১৯৯০ পর্যন্ত প্লাস্টিকের দূষণের মাত্রা সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য় পাওয়া যায়নি। তবে ১৯৯০ এর পর থেকে ২০০৫ পর্যন্ত প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা হুহু করে বেড়েছে। গাইরেস ইনস্টিটিউটের গবেষক লিসা এরডল বলেন, যে হারে প্লাস্টিক সমুদ্রে পড়ছে, তাতে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি । নয়ত ২০৪০ এর মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ ২.৬ গুণ বাড়বে। বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিকের মাত্র ৯% পুনর্ব্যবহৃত হচ্ছে। বাকি সব পরিবেশে মিশে দূষণ ঘটাচ্ছে । বর্তমানে উত্তর আটলান্টিক সাগরে প্লাস্টিকের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। ক্যালিফোর্নিয়ার মুর ইনস্টিটিউট ফর প্লাস্টিক পলিউশন রিসার্চের গবেষক ভিন কাউগারের মতে সমুদ্রে প্লাস্টিক পরিমাপ করা চ্যালেঞ্জিং। প্রতি বছর ১১ থেকে ২৯ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে মিশছে। ২০৪০ এর মধ্যে অতিরিক্ত আরও ৬০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক সমুদ্রে পড়লে তা ৩মিলিয়ন নীল তিমির ওজনের সমান। সামুদ্রিক জীবনও এই প্লাস্টিকের কারণে বিপন্নতার পথে। সামুদ্রিক প্রাণীরা প্লাস্টিকের বর্জ্যে আটকে যায়, খাবার মনে করে প্লাস্টিক গিলে ফেলে। এতে লক্ষ্য় লক্ষ্য় সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু হয়। জীবন্ত মমিতে পরিণত হয় পাখি আর সামুদ্রিক জীব।