Tanduri Chicken: রাস্তার ধারের তন্দুরি খাচ্ছেন? শরীর শেষ হয়ে যেতে পারে…
Street Food: খাবারে ক্ষতিকর রঙের ব্যবহার তো শুধু কর্ণাটকে হচ্ছে এমন নয়। এক জায়গায় ধরা পড়া মানে সর্বত্রই হচ্ছে। সরকার-প্রশাসন কবে কী করবে, সেজন্য তো আমাদের বসে থাকলে চলবে না। সময় থাকতে নিজেদেরই সাবধান হতে হবে। ফুটপাথের চিকেন কাবাবে দিতেই হবে লাগাম। না পারলে তৈরি থাকতে হবে বিপদ ঘনিয়ে আসার অপেক্ষায়।
ফুটপাথের খাবারে তো আমরা সবাই এখন বেশ অভ্যস্ত হয়ে গেছি। খেয়াল করে দেখেছেন কি ইদানিং ভাত-রুটি-চাউমিন ছাড়াও রাস্তার ধারে নানা ধরনের মুখোরচক খাবারের পসরা কীরকম বেড়ে গেছে। মানে আমরা যেসব খাবার খেতে রেস্তোরাঁয় যাই, সেগুলোও এখন দিব্যি রাস্তার ধারেই মিলছে। একটা উদাহরণ দিতে পারি, যেটা এখন বলতে পারেন সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। ফুটপাথেই তন্দুর বসিয়ে তৈরি হচ্ছে চিকেন কাবাব, নানা ধরনের গ্রিলড চিকেন। খেতেও ভালো আর বড় রেস্তোরাঁর তুলনায় এগুলো দামেও বেশ সস্তা। ফুটপাথের চিকেন কাবাবে যদি মন মজে থাকে তাহলে এখনই লোভ সামলান। না হলে কিন্তু আক্কেল সেলামি দিতে হবে। অ্যাসিডিটি, পেটের গণ্ডগোল-এসব বলছি না। শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসার। কখনও ভেবে দেখেছেন কী চিকেন টিক্কা কাবাবের ওই যে সুন্দর একটা হলুদ-বাদামী রং। হরিয়ালি কাবাবের হালকা সবুজ রং। যা দেখেই জিভে জল এসে যায়। সেই রং আসছে কোথা থেকে। মশলার গুণে নয়। ওই রং আসছে রোডামিন-বি নামে একটা ক্ষতিকর রাসায়নিক থেকে। কসমেটিকস, টেক্সটাইল ও লেদার ইন্ডাস্ট্রিতে এটা ব্যবহার করা হয়। সহজেই জলে মিশে যায়। ফলে খাবারে রঙ ধরাতেও দেদার চলছে এই রোডামিন-বি-এর ব্যবহার। যা কিনা জাতে কারসিনোজেনিক। মানে এতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কাজের কাজটা করেছেন কর্নাটকের খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অফিসাররা। দিনকয়েক আগেই তাঁরা রাস্তার ধারের খাবারের দোকানগুলোয় হানা দেন। মাছ-মাংস-কাবাবের নমুনা নিয়ে এসে পরীক্ষার জন্য পাঠান ল্যাবরেটরিতে। দেখা যায় প্রায় ৮ ধরনের চিকেন কাবাবে ক্ষতিকারক কৃত্রিম রং মেশানো হয়েছে। নিরামিষ খাবারেও রোডামিন-বি-এর ট্রেস পাওয়া যায়। ক্যানসার তো বললামই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ক্ষতিকর রাসায়নিক পেটে গেলে লিভারেরও বারোটা বাজতে পারে। খাবার পরীক্ষার রেজাল্ট দেখে কর্ণাটক সরকার আমিষ-নিরামিষ সমস্ত খাবারেই কৃত্রিম রঙের ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডুরাও জানিয়েছেন খাবারে রং মেশালে ৭ বছরের জেল, ১০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে। বিষয়টা নিয়ে আমি কয়েকজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা বললাম। তাঁরা বললেন রাস্তার খাবার যে শুধু বড়রাই খান এমন তো নয়। ছোটরাও খায়। কৃত্রিম রং দিনের পর দিন পেটে গেলে ছোটদের ওপর তার প্রভাব হতে পারে মারাত্মক। বুঝতেই পারছেন, খাবারে ক্ষতিকর রঙের ব্যবহার তো শুধু কর্ণাটকে হচ্ছে এমন নয়। এক জায়গায় ধরা পড়া মানে সর্বত্রই হচ্ছে। সরকার-প্রশাসন কবে কী করবে, সেজন্য তো আমাদের বসে থাকলে চলবে না। সময় থাকতে নিজেদেরই সাবধান হতে হবে। ফুটপাথের চিকেন কাবাবে দিতেই হবে লাগাম। না পারলে তৈরি থাকতে হবে বিপদ ঘনিয়ে আসার অপেক্ষায়।