Anubrata Mondal: মুদি দোকানি থেকে বীরভূমের বেতাজ বাদশা, কীভাবে ঘুরল অনুব্রতর ‘ভাগ্যের চাকা’?

Aug 11, 2022 | 4:02 PM

মুদি দোকানি থেকে মাছের পসরা, ফুটবল প্রেমী অনুব্রত কীভাবে হয়ে উঠলেন বীরভূমের 'শেষ কথা' — নাটকীয় উত্থানের নেপথ্য কাহিনী কী, এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন TV9 বাংলায়

Follow Us

বীরভূম: মুদি দোকানি থেকে মাছের পসরা, ফুটবল প্রেমী অনুব্রত কীভাবে হয়ে উঠলেন বীরভূমের ‘শেষ কথা’ — নাটকীয় উত্থানের নেপথ্য কাহিনী কী, এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন TV9 বাংলায়। নানুরের মণ্ডল বাড়ির মেজো ছেলে অনুব্রত। লেখাপড়া করেছেন ক্লাস এইট পর্যন্ত। তারপর বসে পড়েন বাবার মুদির দোকানে। কম বয়সে নাকি দারুণ ফুটবল খেলতেন কেষ্ট। তিনি নিজে তো বটেই, তাঁর বন্ধুস্থানীয়রাও একবাক্যে মেনে নেন সেই কথা। রাজনীতিতে না এলে হয়তো জগদ্বিখ্যাত ফুটবলারই হতেন তিনি। পরে ফুটবল ছেড়ে তিনি একটি মাছের দোকান করেন বোলপুর বাজারে। মাছের দোকানের পাশাপাশি চলতে থাকে তাঁর গ্রিলের ব্যবসাও।

প্রথমে কংগ্রেস, পরে তৃণমূল। ১৪ বছর বয়স থেকেই পোস্টার লাগানো দিয়ে হাতেখড়ি। ডাকাবুকো স্বভাবের কারণেই চোখে পড়ে যান জেলা নেতৃত্বের। বীরভূমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ। সেতুবন্ধনের কাজ করে দেন নেত্রীর আপ্তসহায়ক গৌতম বসু। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন নেত্রীর আস্থাভাজন। ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূল তৈরি করলে অনুব্রতও দলত্যাগ করেন। যোগ দিয়েই দায়িত্ব পান জেলা যুব তৃণমূলের। যুব সভাপতি করা হয় তাঁকে। ২০০১ সালে ১১ জন চাষির মৃত্যুর ঘটনায় সিপিএম বিরোধী আন্দোলনের নেতা হয়ে ওঠেন অনুব্রত। ২০০৩ সালে মতোবিরোধের কারণে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। ছেড়ে দেন দলও। এরপর দায়িত্ব পান অনুব্রত। জেলায় সংগঠন তৈরি করা থেকে ভোটব্যাঙ্ক, সবটাই সাজিয়েছেন যত্ন করে। জেলায় দল যত এগিয়েছে নেত্রীর আরও প্রিয় হয়েছেন কেষ্ট। ২০১১ সালে তৃণমূলের জয়ে থেকেছেন নেপথ্য নায়ক। প্রবল মোদী ঝড়েও করেছেন গড় রক্ষা। ভোটে জিতিয়েছেন অনেককেই, তবে নিজে কখনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এতো গেল তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার। জানেন ব্যক্তি অনুব্রত আসলে কেমন?

হিন্দি সিনেমা দেখতেও ভালবাসেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি কেষ্ট। নায়কের থেকে খলনায়কের ডায়লগ তাঁর বেশি পছন্দের। বাংলার রাজনীতিতে তিনিও বিখ্যাত তাঁর ‘ডায়ালগে’র জন্য। দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনীতিবিদ হলেও, সচেতন ভাবে তিনি কোনও দিনই ভোটে দাঁড়াননি। যদিও রাজনীতির ময়দানে বহু বিতর্কিত মন্তব্যও করেছেন তিনি। ‘শুঁটিয়ে লাল করে দেব’,’নকুলদানা-পাঁচন’ থেকে ‘চড়াম চড়াম’ ইত্যাদি মন্তব্যের জন্য নেত্রীর কাছে বকুনি খেয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের ‘গুঁতোও’ খেয়েছেন। তবুও স্টান্ট বদলাননি। ‘পাঁচন’, ‘গুড় বাতাসা’, ‘চড়াম চড়াম’ যতই বিতর্কিত হোক, এই গ্রাম্য, মেঠো ভাষাকেই ভোকাল টনিকের কাজে লাগিয়েছেন কেষ্ট।

অনুব্রতর উন্নয়নের বক্তব্য উল্লেখ করে কবি শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন, “দেখ খুলে তোর তিন নয়ন, রাজ্য জুড়ে খড়্গ হাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন”। পাল্টা তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন অনুব্রতও। বীরভূমে বসে প্রধানমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করতে দ্বিধা করেননি তিনি। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সামান্য বকুনি দিলেও বরাবরই প্রিয় কেষ্টর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে কেষ্টর বিতর্কিত মন্তব্য তাঁকে সমস্যায় ফেলার বদলে দিয়েছে আরও বেশি রাজনৈতিক মাইলেজ। তবে এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁকে বারংবার তলব করার পর কী হয়, সেটাই দেখার।

বীরভূম: মুদি দোকানি থেকে মাছের পসরা, ফুটবল প্রেমী অনুব্রত কীভাবে হয়ে উঠলেন বীরভূমের ‘শেষ কথা’ — নাটকীয় উত্থানের নেপথ্য কাহিনী কী, এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন TV9 বাংলায়। নানুরের মণ্ডল বাড়ির মেজো ছেলে অনুব্রত। লেখাপড়া করেছেন ক্লাস এইট পর্যন্ত। তারপর বসে পড়েন বাবার মুদির দোকানে। কম বয়সে নাকি দারুণ ফুটবল খেলতেন কেষ্ট। তিনি নিজে তো বটেই, তাঁর বন্ধুস্থানীয়রাও একবাক্যে মেনে নেন সেই কথা। রাজনীতিতে না এলে হয়তো জগদ্বিখ্যাত ফুটবলারই হতেন তিনি। পরে ফুটবল ছেড়ে তিনি একটি মাছের দোকান করেন বোলপুর বাজারে। মাছের দোকানের পাশাপাশি চলতে থাকে তাঁর গ্রিলের ব্যবসাও।

প্রথমে কংগ্রেস, পরে তৃণমূল। ১৪ বছর বয়স থেকেই পোস্টার লাগানো দিয়ে হাতেখড়ি। ডাকাবুকো স্বভাবের কারণেই চোখে পড়ে যান জেলা নেতৃত্বের। বীরভূমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ। সেতুবন্ধনের কাজ করে দেন নেত্রীর আপ্তসহায়ক গৌতম বসু। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন নেত্রীর আস্থাভাজন। ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূল তৈরি করলে অনুব্রতও দলত্যাগ করেন। যোগ দিয়েই দায়িত্ব পান জেলা যুব তৃণমূলের। যুব সভাপতি করা হয় তাঁকে। ২০০১ সালে ১১ জন চাষির মৃত্যুর ঘটনায় সিপিএম বিরোধী আন্দোলনের নেতা হয়ে ওঠেন অনুব্রত। ২০০৩ সালে মতোবিরোধের কারণে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়। ছেড়ে দেন দলও। এরপর দায়িত্ব পান অনুব্রত। জেলায় সংগঠন তৈরি করা থেকে ভোটব্যাঙ্ক, সবটাই সাজিয়েছেন যত্ন করে। জেলায় দল যত এগিয়েছে নেত্রীর আরও প্রিয় হয়েছেন কেষ্ট। ২০১১ সালে তৃণমূলের জয়ে থেকেছেন নেপথ্য নায়ক। প্রবল মোদী ঝড়েও করেছেন গড় রক্ষা। ভোটে জিতিয়েছেন অনেককেই, তবে নিজে কখনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। এতো গেল তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার। জানেন ব্যক্তি অনুব্রত আসলে কেমন?

হিন্দি সিনেমা দেখতেও ভালবাসেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি কেষ্ট। নায়কের থেকে খলনায়কের ডায়লগ তাঁর বেশি পছন্দের। বাংলার রাজনীতিতে তিনিও বিখ্যাত তাঁর ‘ডায়ালগে’র জন্য। দোর্দণ্ডপ্রতাপ রাজনীতিবিদ হলেও, সচেতন ভাবে তিনি কোনও দিনই ভোটে দাঁড়াননি। যদিও রাজনীতির ময়দানে বহু বিতর্কিত মন্তব্যও করেছেন তিনি। ‘শুঁটিয়ে লাল করে দেব’,’নকুলদানা-পাঁচন’ থেকে ‘চড়াম চড়াম’ ইত্যাদি মন্তব্যের জন্য নেত্রীর কাছে বকুনি খেয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের ‘গুঁতোও’ খেয়েছেন। তবুও স্টান্ট বদলাননি। ‘পাঁচন’, ‘গুড় বাতাসা’, ‘চড়াম চড়াম’ যতই বিতর্কিত হোক, এই গ্রাম্য, মেঠো ভাষাকেই ভোকাল টনিকের কাজে লাগিয়েছেন কেষ্ট।

অনুব্রতর উন্নয়নের বক্তব্য উল্লেখ করে কবি শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন, “দেখ খুলে তোর তিন নয়ন, রাজ্য জুড়ে খড়্গ হাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন”। পাল্টা তাঁকে আক্রমণ করেছিলেন অনুব্রতও। বীরভূমে বসে প্রধানমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করতে দ্বিধা করেননি তিনি। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সামান্য বকুনি দিলেও বরাবরই প্রিয় কেষ্টর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে কেষ্টর বিতর্কিত মন্তব্য তাঁকে সমস্যায় ফেলার বদলে দিয়েছে আরও বেশি রাজনৈতিক মাইলেজ। তবে এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁকে বারংবার তলব করার পর কী হয়, সেটাই দেখার।

Next Video