Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Panchayat Election 2023: ভোট আসে, ভোট যায়, বদলায় না নেপালি বস্তি!

Panchayat Election 2023: ভোট আসে, ভোট যায়, বদলায় না নেপালি বস্তি!

TV9 Bangla Digital

| Edited By: আসাদ মল্লিক

Updated on: Jun 11, 2023 | 7:43 PM

Panchayat Election: ভোট আসে, ভোট যায়।পঞ্চায়েতের বদল হয়,তবে বদলায়না নেপালি বস্তির অবস্থা। ক্ষোভে ফুসছে বস্তিবাসী, জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপালি বস্তির এমনটাই ছবি।

ভোট আসে, ভোট যায়।পঞ্চায়েতের বদল হয়,তবে বদলায়না নেপালি বস্তির অবস্থা। ক্ষোভে ফুসছে বস্তিবাসী, জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নেপালি বস্তির এমনটাই ছবি। অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষায় আংরাভাসা নদীগর্ভে চলে যায় একেরপর এক ঘর বাড়ি ,এমনকি বিঘার পর বিঘা কৃষকের চাষের জমি। গত বর্ষায় নদী গর্ভে চলে গিয়েছে ১৩ টি বাড়ি। বিলীন হয়েছে একাধিক বিঘা চাষের জমি ও চা বাগান। এমনকি অনেকেই বর্ষা শুরু না হতেই বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছেন।

ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে কয়দিনের শুরু হবে ভারী বৃষ্টি । আতঙ্কে আংরাভাসা নদীর পাড়ে বসবাসকারী নেপালি বস্তির বাসিন্দারা। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের দামামাও বেজে ওঠেছে। ঘোষণা হয়েছে নির্বাচনের দিন। অথচ এখনও পর্যন্ত তৈরী হয়নি নদী বাঁধ। তাই ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার বাসিন্দারা। তাই হুশিয়ারি দিয়েছে,আগে বাধ হবে তবেই ভোট হবে এই গ্রামে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতিবছর ভোটের মুখে নেতারা এসে আশ্বাস দেন নির্বাচনে জেতালে মিলবে নদী বাঁধ। কিন্তু তাতেও তাদের আশ্বাসেও এলাকার কোনো সমস্যার পরিবর্তন হয়না। তাই এবারে আর নেতাদের কোথায় বিশ্বাস করছেন না গ্রামের বাসিন্দারা।
তাই তাদের দাবি আগে বাঁধ, তবেই ভোট। নাহলে ভোট বয়কটের পথে যাবেন গ্রামবাসীরা এমনটাই হুশিয়ারি দিয়েছেন। পরিষ্কার হুংকার দিয়েছেন বাঁধ নির্মাণ না হলে কেউ ভোট দিতে যাবেন না। জানিয়ে রীতিমত তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

যদিও প্রশাসনের কর্তাদের দাবি ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে নেপালি বস্তিতে নদী বাঁধের জন্যে। তবে ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত পড়েনি বাঁধ তৈরির সামগ্রী। স্বাভাবিকভাবে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নদীর বাঁধ তৈরি হবে কিনা, তানিয়েও কিন্তু দেখা দিয়েছে সংশয়। এই মুহূর্তে কাজ শুরু করলে নির্বাচনের বিধি ভঙ্গের আওতায় পড়তে পারে কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদারী সমস্যা। তানিয়েও কিন্তু সন্দেহ রয়েছে। বর্ষায় আগে বাঁধ তৈরি হবে কিনা তা নিয়েই কিন্তু সিধুরে মেঘ দেখছেন গ্রামবাসীরা। যদিও সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে কাজের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে ,এজেন্সি থেকে নোটিশ করা হয়েছে দু-একদিনের মধ্যেই কাজ শুরু করবে। নির্দিষ্ট সময় মতো যদি কাজ করতে না পারে ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।