Viral Video: ভালবাসার শহর! মুসলিমের আইডিয়ায় কলকাতার গির্জায় আল্পনা আঁকলেন হিন্দু মহিলা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অন্বেষা বিশ্বাস

Dec 25, 2022 | 7:00 PM

New Viral Video: মুসলিম বন্ধু মুদ্দার পাথেরিয়ার অনুরোধে কলকাতার নামজাদা দু'টি চার্চে আল্পনা আঁকলেন রত্নাবলী ঘোষ। তবে তিনি হিন্দু।

Viral Video: ভালবাসার শহর! মুসলিমের আইডিয়ায় কলকাতার গির্জায় আল্পনা আঁকলেন হিন্দু মহিলা

Follow Us

Sacred Heart Church: এমন এক সময়ে যখন দেশের বিভিন্ন অংশে সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে,ঠিক তখনই বড়দিন উপলক্ষে এক মুসলিম বন্ধুর অনুরোধে কলকাতার একটি গির্জায় আলপনা আঁকলেন (Alpona at Church) এক হিন্দু মহিলা। ‘আল্পনা’ বাঙালিদের একটি ঐতিহ্য। যা বেশিরভাগ পূজা প্যান্ডেল এবং বাঙালি পরিবারগুলিতে দেখা যায়, তবে এবার বড়দিনের জন্য একটি গির্জায়তেও আল্পনা আঁকা হয়েছে। আর সেই ভিডিয়ো এখন সামাজিক মাধ্য়মে ভাইরাল।

মুসলিম বন্ধু মুদ্দার পাথেরিয়ার অনুরোধে কলকাতার নামজাদা দু’টি চার্চে আল্পনা আঁকলেন রত্নাবলী ঘোষ। তবে তিনি হিন্দু। গির্জার উদ্যোক্তরা বিশ্বাস করেন, “আল্পনা সব ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম।” আর এই কারণকে কেন্দ্র করেই মুদ্দার পাথেরিয়া নিজে প্যারিস কাউন্সিলকে অনুরোধ করেছিলেন যাতে গির্জায় আল্পনা আঁকা হয়। আর তারপরেই কলকাতার ধর্মতলায় 150 বছরের পুরনো স্যাক্রেড হার্ট চার্চে (Sacred Heart Church) আল্পনা আঁকলেন রত্নাবলী ঘোষ।

সূর্যগ্নি নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী এই ভিডিয়োটি টুইট করেছেন। আর ইতিমধ্যেই তা ভাইরাল। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, 150 বছরের পুরনো স্যাক্রেড হার্ট চার্চে আল্পনা আঁকছেন হিন্দু মহিলা। রঙ্গোলির মতো নানা রঙের ব্যবহার করে নয় বরং খড়িমাটি গুলে আঙুলের সাহায্যে ফুটিয়ে তুলছেন হরেক রকম নকশা। ইসলামীয়দের কোনও অনুষ্ঠানে, কিংবা বড়দিনে এমন রেওয়াজ নেই। তবে এবার গির্জায় এমন ব্যবস্থা দেখে অবাক কলকাতার অধিকাংশ বাসিন্দা।

এ প্রসঙ্গে মুদ্দার পাথেরিয়া জানান, “হিন্দু দেবদেবীর আগমনে আলপনা আঁকা হয়। যেকোনও কাজের শুভারম্ভে আলপনা আঁকা হয়। তাহলে বড়দিনে যীশু খ্রীষ্টের আগমনের জন্য় আলপনা আঁকা যাবে না কেন ? যখন এই প্রস্তাব চার্চ কর্তৃপক্ষকে দিয়েছিলাম তখন তারা আমার আবেদনে সাড়া দিয়েছে। এর জন্য় আমি কৃতজ্ঞ।”

শিল্পী রত্নাবলী ঘোষ এবিষয়ে বলেন, “আমি সারা জীবন আলপনা আঁকছি। কিন্তু, এই নতুন উদ্যোগের অনুপ্রেরণা নিয়ে আমার কাছে এসেছিলেন মুদ্দার। আমি মনে করি এই আলপনার কোনও জাত-পাত নেই। আলপনার কোনও ধর্মও হয় না।”

Next Article