Latest Viral Video: শিশুরা বড়ই নিষ্পাপ হয়। তাদের জন্য কী ভাল হতে পারে, আর কী-ই বা বিপজ্জনক হতে পারে, তার কোনও ধারণাই তাদের থাকে না। আর সেই কারণেই নির্ভয়ে তারা যা-কিছু নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয়। মা-বাবার অনুপস্থিতিতে তা থেকে ঘটে যায় বড়সড় দুর্ঘটনা। সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো থেকে সেরকমই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। ছোট্ট একটি বাচ্চাকে দেখা গিয়েছে ঘরের মধ্যে বিষাক্ত একটি সাপ নিয়ে ঢুকে পড়তে। কোলের সন্তানের হাতে বিশালাকার একটি সাপ দেখার পরে বাচ্চাটির মা চিল-চিৎকার করতে থাকেন।
মর্মান্তিক এই ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে টুইটারে। সেখানেই ওই শিশুর হাতে দেখা গিয়েছে বিপজ্জনক সাপটি। ঠিক যেন একটা কুকুরছানা বা বিড়ালছানা ধরার কায়দায় বাচ্চাটি ওই সাপের লেজ ধরে সেটিকে ঘরে নিয়ে আসতে থাকে। অকুতোভয় শিশুটির চোখে-মুখে ভয়ের লেশমাত্রটুকুও দেখা যায়নি। জানা গিয়েছে, বাচ্চাটি যখন বাড়ির বাইরে খেলা করছিল, সেই সময়ই তার নজরে সাপটি আসে। আর সেটিকে দেখা মাত্রই সে তার লেজ ধরে টানতে-টানতে সাপটিকে ঘরে নিয়ে আসে।
সাপটিকে ওই বাচ্চার হাতে যেন দড়ির মতো লাগছিল। মনে হচ্ছিল, এই সাপ যেন বাচ্চাটির খেলনা। এদিকে সাপটিকে ঘরে নিয়ে যাওয়া মাত্রই চিৎকার করতে থাকে তার মা। সোফার পিছন থেকে তিনি নিজেকে লুকোতে থাকেন এবং হাউ-হাউ করে কাঁদতে থাকেন। কিন্তু ওই খুদের যে বোঝার ক্ষমতাই নেই তার হাতে কী ভয়ানক একটি প্রাণী রয়েছে। বাচ্চাটিও তার মায়ের দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকে। সে বুঝতেই পারছিল না কী কারণে তার মা এরকম ভাবে কাঁদছিল।
Baby surprises mother with a snake she found outside pic.twitter.com/D3VP79ac2n
— CCTV IDIOTS (@cctvidiots) August 6, 2023
বাচ্চাটির হাতে যখন সাপের লেজটা ছিল, সে সময় সাপটি ঘরের মেঝেতে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। টুইটারে @cctvidiots নামক একটি হ্যান্ডেল থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। গত 6 অগস্ট ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যেই ভিডিয়োর ভিউ 12 মিলিয়ন ছাপিয়ে গিয়েছে। নেটিজ়নরা এই ভিডিয়োটি দেখার পরে হতচকিত হয়েছেন। ছোট্ট ছেলের এমন সাহস দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই।
সৌভাগ্যবশত, বাচ্চাটির কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু নেটিজ়েনরা মা-বাবাকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। ভিডিয়োটি দেখার পরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা শিশুদের বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ছোট বাচ্চারা বুঝতে পারে না, তাদের জন্য কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল। এমন পরিস্থিতিতে তাদের প্রতি বিশেষ নজর রাখা দরকার বলে জানিয়েছেন অনেকেই।