বাথটবে বসে বাঘমামার স্নান! ভিডিও দেখে ‘ছেলেবেলায়’ ফিরলেন শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা

Dec 11, 2020 | 1:21 PM

“যখন একটা বাঘ জাকুজ্জি (এক ধরনের বাথটব) ব্যবহার করে তখন সেটার নাম হয় টিকুজ্জি’।

বাথটবে বসে বাঘমামার স্নান! ভিডিও দেখে ছেলেবেলায় ফিরলেন শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রা
বাথটবে বাঘমামার জলকেলি

Follow Us

জল ভর্তি বাথটবে দিব্যি স্নান করছে এক তাগড়াই বাঘ। জঙ্গলের মধ্যে কিংবা কোনও চিড়িয়াখানায় ওই বাঘের জন্য এমন স্নানের ব্যবস্থা করা হয়নি। বরং ওই কেঁদো বাঘটি গুটিগুটি পায়ে হাজির হয়েছে এক গৃহস্থ বাড়িতে। যদিও বাড়ির লোকেদের ভয় দেখানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করেনি বাঘটি। বরং নজর ছিল জল ভর্তি রবারের বাথটবে।

কয়েক দিন আগে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বাঘমামার জলকেলির এই ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। সেখানে দেখা গিয়েছিল, জল ভর্তি রবারের ওই বাথটবে প্রথমে ঝাঁপ দেয়নি বাঘটি। বেশ খানিকক্ষণ ধরে চারপাশে ঘুরে শুঁকে শুঁকে রীতিমতো পর্যবেক্ষণ চালিয়েছে। তারপর থাবায় ভর দিয়ে নেমে পড়েছিল জলে। ছোট্ট বাচ্চারা যেমন বাথটবে বসে হাত-পা ছুড়ে বা লাফঝাঁপ দিয়ে বাইরে উপচে জল ফেলে দেয়। তেমনই কাণ্ড করেছে এই বাঘটিও।

খুব বেশি লম্ফঝম্প না করলেও স্নান করতে বাঘমামার যে বেশ মজা লেগেছে সেটা বোঝা গিয়েছে ওই ভিডিওতে। জয়রাম রমেশ লিখেছিলেন, এই ভিডিও সম্ভবত কুর্গের। তিনি জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তার কাছে এই ভিডিও এসেছে। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার ভিডিও ভাইরাল হতে বেশি সময় লাগেনি। আর বাথটবে বসে বাঘমামা স্নানের ভিডিও নজরে পড়েছে শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রারও।

টুইটারিয়ানরা জানেন, মজার ভিডিও, মিম টুইট করায় আনন্দ মহিন্দ্রার জুরি মেলা ভার। শিল্পপতি পটু ব্যবসায়ীর পাশাপাশি যে সূক্ষ্ম রসবোধের অধিকারী সেই পরিচয় আগেও দিয়েছেন বহুবার। বাঘের জলকেলির ভিডিওতে তাঁর মন্তব্য আবারও বুঝিয়ে দিয়েছে যে আদতে আনন্দ মহিন্দ্রার অন্তরে লুকিয়ে আছে শিশুর সারল্য।

জয়রাম রমেশের টুইট করা ওই ভিডিও রিটুইট করে আনন্দ লিখেছেন, “ছোটবেলায় ছুটির দিনগুলোর বেশিরভাগটাই কাটিয়েছিলাম কোদাগু-তে। কর্নাটকের নাগারহোল স্যাংচুয়ারি থেকে দূরত্ব মাত্র ছয় মাইল। কিন্তু বাঘ দেখার সৌভাগ্য কোনওদিন হয়নি। আর একে দেখো (পড়ুন বাঘটিকে), দিব্যি কার একটা বাড়িতে ঢুকে পড়েছে তাদের বাথটব ব্যবহারের জন্য।“

এখানেই শেষ নয়। ছোটবেলার স্মৃতি রোমন্থন করে আনন্দ আরও বলেছেন, “যখন একটা বাঘ জাকুজ্জি (এক ধরনের বাথটব) ব্যবহার করে তখন সেটার নাম হয় টিকুজ্জি’।

Next Article