অপ্টিক্যাল ইলিউশনের (Optical Illusion) ছবিগুলি আপনার মস্তিষ্কের সঙ্গে কেমন খেলা খেলছে বলুন তো! কত ভাবাচ্ছে আপনাকে। বারবার খুঁটিয়ে দেখছেন একটা ছবি। কিন্তু আসল জিনিসটা খুঁজে পাচ্ছেন না। আবার ছবিগুলি কখনও আবার আপনার ব্যক্তিত্বের বিশেষ একটা দিকও তুলে ধরছে। কখনও তো আপনার চরিত্রের অত্যন্ত গোপনীয় একটা তথ্যের কথা বলছে। তাই তো অপ্টিক্যাল ইলিউশনের ছবিগুলি গোগ্রাসে গিলছেন নেটপাড়ার লোকজন। তেমনই একটা ছবি ফের ভাইরাল (Viral) হল। সাধারণ একটা ছবি। দৃশ্যপটে রয়েছে একটি কুঁড়ে ঘর, কিছু গাছপালা। আর সেই ছবিতেই লুকিয়ে রয়েছে একটা ভাল্লুক। আপনার কাজ হল সেই ভাল্লুকটিকেই খুঁজে বের করা।
কোথায় রয়েছে বলুন তো সেই ভাল্লুক? সেকি মাটিতে ঘুমিয়ে রয়েছে, গাছের ডালে উঠে মৃদুমন্দ বাতাস উপভোগ করছে। কেউ বলতে পারছেন না উত্তরটা। আসলে ভাল্লুকটিকে কেউ খুঁজেই পাচ্ছেন না। কোথায় ভাল্লুকটি রয়েছে, তার উত্তর পেতে আপনাকে ছবির চতুর্দিকে তীক্ষ্ণ নজর দিয়ে তাকাতে হবে। তার আগেও মনে রাখতে হবে, এটি কিন্তু ছবির ধাঁধা অর্থাৎ অপ্টিক্যাল ইলিউশন। আপনি দেখছেন এক, ভাবছেন আর এক, আদতে হচ্ছে অন্য কিছু।
এবার উত্তরটা আমরা বলে দিই। দিগ্বিদিক তাকিয়ে লাভ নেই। ভাল্লুকটিকে খুঁজে পেতে যা দরকার, তা হল তীক্ষ্ণ দৃষ্টি এবং ক্ষুরধার বুদ্ধি। যদি মনে করেন, এই ছবিতে একটি সত্যিকারের ভাল্লুক লুকিয়ে রয়েছে, তাহলে ভুল ভাবছেন। গাছের ডালপালার দিকে ভাল করে একবার তাকান। তাহলে খেয়াল করবেন যে, গাছের ডালপালা এমনই ভাবে রয়েছে, সেখানে যেন একটি ভাল্লুকের রূপরেখা তৈরি হয়ে গিয়েছে।
এই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল। নেটপাড়ার লোকজন ছবিটি নানাবিধ মন্তব্য করেছেন। একজন লিখছেন, “আমি আসলে ছবিতে একটা ভাল্লুক খুঁজছিলাম। কিন্তু উল্টে একটা ভাল্লুকের ছবি দেখতে পেয়ে গেলাম।” অন্য একজনের কথায়, “গাছের ডালে যে ভাল্লুকটা তৈরি হয়েছে, সেটি আসলে খুবই কিউট। আর মনে হচ্ছে যেন, ভাল্লুকের একটা কার্টুন তৈরি হয়ে গিয়েছে।”
তৃতীয় ব্যক্তি অত্যন্ত মজা করে লিখলেন, “এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন। আমার বাবা সারাদিন তাঁর মুদির দোকানে বসে চেষ্টা করেছেন, পারেননি। আমিও সারাদিন চেষ্টা করে দিনের শেষে বেমালুম বোকা বনে গেলাম।”