Viral: আজব প্রেমকাহিনি! অন্ধকারেই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে হবে, গোটা গ্রামের কারেন্টের কানেকশন কেটে দিতেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি প্রেমিক

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

May 11, 2022 | 7:11 PM

Crazy Love: শেষ পর্যন্ত ওই দুই যুবক-যুবতীর বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। বিহারের পূর্ণিয়া জেলার গণেশপুর গ্রামে ঘটেছে এই কাণ্ড।

Viral: আজব প্রেমকাহিনি! অন্ধকারেই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে হবে, গোটা গ্রামের কারেন্টের কানেকশন কেটে দিতেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি প্রেমিক
ছবি প্রতীকী।

Follow Us

প্রেমে পড়লে মানুষ কী না করে। সম্প্রতি তেমনই নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়। ওই গ্রামের গল্প ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লোকমুখে ফিরছে ওই গ্রামের কথা। কিন্তু কী এমন হয়েছে বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়? ওই জেলার একটি গ্রামের এক বাসিন্দা, যিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, তিনি ঠিক করেছিলেন অন্ধকারে বিয়ে করবেন। এখানেই শেষ নয়। হবু স্ত্রীর সঙ্গে অন্ধকারেই দেখা করতে যেতেন তিনি। কী ভাবছেন রাতের অন্ধকার? বিষয়টা অত সহজ নয়। হবু স্ত্রীর গ্রামে লোডশেডিং করিয়ে তারপর সেখানে যেতেন ওই প্রেমিক। কারণ এই আশিকের মতে অন্ধকারেই রয়েছে রোমাঞ্চ। এদিকে ঘনঘন কারেন্ট যেতে থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তিতিবিরক্ত হয়ে আসল কারণ খুঁজতে নামেন তাঁরা। আর তারপরেই ছানবিনে প্রকাশ্যে আসে আসল কারণ। এই ঘটনা শুনে নেটিজ়েনরা বলছেন এমন মজনুর কথা আগে শোনেননি তাঁরা।

পূর্ণিয়া জেলার গ্রাম গণেশপুর। সেখানেই ঘনঘন কারেন্ট চলে যেত। বলা নেই কওয়া নেই দুমদাম নিভে যেত আলো, পাখা। এদিকে পাশের গ্রামে তখন দিব্যি কারেন্ট রয়েছে। দিনের পর দিন এমনটা চলতে থাকায় সন্দেহ হয় গনেশপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মনে। এভাবে মাঝেমধ্যেই কারেন্ট চলে যাওয়ার কারণ খুঁজতে শুরু করেন তাঁরা। আর তখনই সামনে আসে আসল ঘটনা। গণেশপুরের গ্রামের বাসিন্দারা জানতে পারেন যে তাঁদের গ্রামেই থাকেন ওই ইলেকট্রিশিয়ানের প্রেমিকা। আর তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্যই বারবার কারেন্টের কানেকশন কেটে দেন ওই যুবক। অদ্ভুত দাবি তাঁর। অন্ধকারের মধ্যেই নাকি বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে হবে। আর তার জন্য প্রায় প্রতিদিনই গ্রামের বিদ্যুতের কানেকশন কেটে দিতেন তিনি নিজেই। এমন কাণ্ড এর আগে কেউ কখনও শুনেছেন বলে মনে হয় না।

এই দু’জনকে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় একটি স্কুলে প্ল্যানমাফিক ধরাও পড়ে ওই যুবক-যুবতী। ওই ইলেকট্রিক মিস্ত্রির উপর ক্ষেপে ছিলেন সকলেই। তাই উত্তম-মধ্যম প্রহার জুটেছে তাঁর কপালে। গোটা গ্রাম ঘোরানোও হয়েছে তাঁকে। এরপর গ্রামের প্রধান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই যুবতীর সঙ্গে যুবকের একপ্রকার জোর করেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় অবশ্য কোনও পুলিশি তদন্ত হয়নি। কারণ গ্রামবাসীরা যুবকের নামে কোনও অভিযোগ জানাননি। অভিযোগ জানালে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ইলেকট্রিশিয়ান প্রেমিক কেন অন্ধকারে তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন সেটা কিন্তু স্পষ্ট হয়নি।

Next Article