আজকাল বাজারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন বিভিন্ন ধরণের ক্যামেরা পাওয়া যায়। উন্নত হয়েছে লেন্সও। স্মার্টফোনের ক্যামেরাতেও রয়েছে আধুনিক সব ফিচার। আর এইসমস্ত অতি আধুনিক গ্যাজেটের সাহায্যে অনেকসময়েই লেন্সবন্দি এমন সব ছবি বা মুহূর্ত, যা সত্যিই দুর্লভ। সম্প্রতি এমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে টুইটারে। সৌজন্যে ভারতীয় বনবিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিক রমেশ পাণ্ডে।
What do you see in this image? Zoom in and get surprised.
Use of drones helped in successful rescue operation of a leopard in Bahraich, UP recently. This interesting image has been shared by Manish Singh, DFO. Indeed a well coordinated work. @CentralIfs #leopard #rescue pic.twitter.com/dFNRHZP5aC
— Ramesh Pandey (@rameshpandeyifs) April 9, 2021
এই আইএফএস অফিসার একটি ছবি টুইটে শেয়ার করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন নেটাগরিকদের কাছে। হলুদ শস্যের ক্ষেতে ফসল ছাড়া আর কী খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, সেটাই জানতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে দেখলে আপনার নজরে সত্যিই কিছু আসবে না। কিন্তু বেশ খানিকক্ষণ ছবির দিকে তাকিয়ে থাকলে এবং ভাল করে খুঁটিয়ে দেখলে শস্যের ক্ষেতের আড়ালে একটি চিতাবাঘ নজরে আসবে। আইএফএস অফিসার অবশ্য ছবি শেয়ারের সময়েই বলেছিলেন যে জুম করলেই চমক পাওয়া যাবে এই ছবিতে।
A leopard safely rescued from Human Habitation in Bahraich. more than 3000 persons surrounded the wheat field. Used drone to locate and professionals to tranquilize. Leopard was shifted to Gorakhpur Zoo for treatment @rameshpandeyifs @ParveenKaswan @ndtvindia @PrakashJavdekar pic.twitter.com/ezUAi5tFzP
— Manish Singh (@ManishSinghIFS) April 9, 2021
জানা গিয়েছে, একটি চিতাবাঘকে উদ্ধারকাজের সময় ড্রোনের সাহায্যে এই ছবি তোলা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ এলাকায়। রমেশ পাণ্ডে জানিয়েছেন। গত শুক্রবার চলছিল এই উদ্ধারকাজ। সেখানকার ডিএফও মনীশ সিং এই ছবি প্রথম শেয়ার করেছিলেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ক্ষেতের মধ্যে ফসলের আড়ালে ঘাপটি মেরে শুয়ে রয়েছে ওই চিতাবাঘটি। চিতাবাঘ এবং শস্যের রঙ হলুদ হওয়ায় এক ঝলক ওই ছবি দেখে কিছুই বোঝা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন- স্প্লিটস-হেডস্ট্যান্ড, আরও কত কী… শাড়িতেই কসরত দেখাতে পারদর্শী নৃত্যশিল্পী রুক্মিণী বিজয়কুমার
বাহরিচ- এর ডিএফও মনীশ সিং জানিয়েছেন, যে ক্ষেত থেকে ওই চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, তার আশপাশে প্রায় ৩ হাজার লোকের বসবাস রয়েছে। ওই ক্ষেত আসলে একটি গমের ক্ষেত। আর তাই হলুদ পাকা গমের মধ্যে চুপটি করে লুকিয়ে থাকা সহজ হয়েছিল চিতাবাঘটির পক্ষে। শস্য আর বাঘের গায়ের রঙ কাছাকাছি হওয়ায় দুটোই একদম মিশে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত চিতাবাঘটিকে উদ্ধারের জন্য ড্রোনের সাহায্য নিতে হয়। আর সেই ড্রোনেই ধরা পড়ে এই চিতাবাঘের ছবি। উদ্ধারের পর বনকর্মীরা চিতাবাঘটিকে গোরক্ষপুরের চিড়িয়াখানায় পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা হবে। তবে চিতাবাঘটি আহত হয়ে ওই ক্ষেতে লুকিয়ে ছিল কিনা সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।