মানবতা বলে কি সত্যিই এখনও কিছু আছে। হৃদয়বিদারক একাধিক ঘটনা যখন আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখি, তখন এই প্রশ্নটাই আমাদের মাথায় ঘোরাফেরা করে বারংবার। কিন্তু তারপরেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনও কিছু ভিডিয়ো আমরা দেখতে পাই, যেগুলো দেখে মানবতারই জয়গান গাইতে ইচ্ছে হয়। তেমনই এক ঘটনা নেটিজ়েনদের মন জয় করে নিয়েছে। ভারতে বেড়াতে এসেছিলেন অ্যান্ডার্স অ্যান্ডারসন নামের এক ড্যানিশ ব্যবসায়ী। সেখানে এসেই তিনি মন ভাল করা একটা গল্প শোনালেন। গল্প ঠিকই, তবে তার পুরোটাই সত্যি। আর সেই গল্প শোনার পর আপনিও মানবতার জয়গান গাইবেন। বলবেন, “অতিথি দেব ভব”-র প্রকৃত উদাহরণ।
অ্যান্ডারসন তাঁর গল্পটি শেয়ার করেছেন লিঙ্কডইনে। সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, কীভাবে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে সিকিওরিটি চেকিংয়ের সময় তাঁর অত্যন্ত মূল্যবান এবং সাধের সম্পত্তি হারিয়ে ফেলেন। সেটি ছিল একটি ঘড়ি, যা অ্যান্ডারসনের দাদুর।
লিঙ্কডইন পোস্টের ক্যাপশনে অ্যান্ডারসন লিখেছেন, “বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে যখন আমি সিকিওরিটি চেকিংয়ের জন্য গিয়েছিলাম, তখন দুর্ঘটনাচক্রে আমার ঘড়িটা এক্স-রে ট্রেতেই ফেলে এসেছিলাম। এটা আমার কাছে শুধু একটা ঘড়ি ছিল না। আমার দাদু তাঁর জন্মদিনে যে ঘড়ি উপহার পেয়েছিলেন, আমার জন্মদিনেও সেটা আমার কাছে দিয়েছিলেন। সেই কারণেই এই ঘড়িটি আমার কাছে অত্যন্ত আবেগপূর্ণ এবং মূল্যবান।”
লিঙ্কডইন পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
হুট করেই তাঁর মাথায় আসে, ঘড়িটি আর হাতে নেই। ডেনমার্কে ফেরার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অ্যান্ডারসন। তাঁর কথায়, “ঘড়িটা যে আর পাব না, তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই আমি চলে যাচ্ছিলাম। পেতামই বা কীভাবে? এমন একটা বিমানবন্দরে ওই ঘড়িটা ফেলে এসেছিলাম, যেখানে বছরে 16 মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করেন, এমন একটা দেশে যেখানে 1,4 বিলিয়ন মানুষের বসবাস।”
এরপরই তিনি যোগ করলেন, “কিন্তু তারপরেই ভারতবর্ষের শক্তিটা নিজের চোখে দেখার সুযোগ হল। মিনিট ২০ পরেই বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্ট এনগেজমেন্ট সেন্টারের কাছে আমার ইমেলটি পৌঁছে যায়। তার ঠিক ১৪ মিনিটের মধ্যেই বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর টার্মিনাল থেকে একটা ইমেল পাই। তারা জানায় যে, ঘড়িটি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।”
প্রায় ৪০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ এই পোস্ট পছন্দ করেছেন। কমেন্ট ছাপিয়ে গিয়েছে ১১০০, প্রায় ৬৭৭ বার রিপোর্ট করা হয়েছে।