গত বছরের একবারে শেষ দিকটায় গান গাইতে গাইতে চূড়ান্ত ভাইরাল হয়েছিলেন বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। এর মাঝে অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়েছে। দেশের গণ্ডি টপকে বিদেশে পৌঁছে গিয়েছে ভুবনের কাঁচা বাদাম গানের (Kacha Badam Song) মধুর সুর। ভুবন প্রকৃত অর্থেই ভুবনখ্যাত হয়েছেন। অজান্তেই পেয়ে গিয়েছেন সেলিব্রিটি তকমা, যা নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়িও কম হয়নি। এখন হাতে তাঁর আইফোন, প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করছেন। কিন্তু গানের জনপ্রিয়তা এক চুলও কম হয়নি। এবার কাঁচা বাদাম গানের সুরটি বাঁশিতে হুবহু তুললেন এক শিল্পী। তিনি নিজে বেলুন থেকে শুরু করে বাঁশি-সহ ছোটদের খেলাধূলার নানা সামগ্রী বিক্রি করেন। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple) সামনে সেই তিনিই বাঁশি বাজিয়ে তুললেন কাঁচা বাদাম গানটি। আর সেই বাঁশির সুরও ভাইরাল হতে এক মুহূর্তও সময় নিল না।
#kachabadam fever hits #Puri #Odisha
Flute artist playing Bengal’s recent popular tune in front of #JagannathTemple #Puri pic.twitter.com/4XIlLmxQ0t— Suryagni (@Suryavachan) June 20, 2022
ট্যুইটারে এক ইউজার এই বাঁশিবাদকের ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন, যাঁর প্রোফাইলের নাম সূর্যবচন। তাঁর নাম সূর্যাগ্নি, পেশায় তিনি একজন সাংবাদিক। বাঁশিবাদক থুড়ি খেলনা বিক্রেতার এই ভিডিয়োটি শেয়ার করে ট্যুইটারে সূর্যাগ্নি লিখছেন, “কাঁচা বাদাম জ্বরে আক্রান্ত এখন পুরীও। এক বাঁশিবাদক বাংলার সাম্প্রতিক সবথেকে জনপ্রিয় গানটি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সামনে বাঁশিতে বাজিয়ে শোনালেন।”
মাত্র 20 সেকেন্ডের এই ভিডিয়ো নেটপাড়ার লোকজনের মন জয় করে নিয়েছে। ব্যক্তির বাঁশি বাজানোর অসামান্য প্রতিভায় মোহিত হয়ে একজন লিখলেন, “অসাধারণ পারফরম্যান্স। প্রতিভাবান ভারতীয়।”
ভাল সঙ্গীত কীভাবে ভাষা ও সাংস্কৃতিক বাধা অতিক্রম করে তার একটি নিখুঁত উদাহরণ কাচা বাদাম গানটি। 2021 সালের নভেম্বরে এটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে, উপমহাদেশ জুড়ে মানুষজন এই গানের সুরে মুগ্ধ হয়েছিলন। ইনস্টাগ্রামে একটা সময় কাঁচা বাদাম গান ছাড়া আর অন্য কোনও গানের রিলস ভিডিয়ো দেখা যেত না।
ভুবন বাদ্যকার জনপ্রিয় বাউল লোক সুরে জিঙ্গেলটি প্রস্তুত করেছিলেন। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে এমনই একটা সুর তিনি বেছে নিয়েছিলেন, যাঁরা চিনাবাদামের বিনিময়ে পুরানো পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস এবং বাসন তুলে দিচ্ছিলেন ভুবনের হাতে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অমিত ধুল, যিনি একজন বিখ্যাত হরিয়ানভি গায়ক এবং অভিনেতা, ভুবন বাদ্যকারের গানটির একটি দ্বিভাষিক ম্যাশআপ তৈরি করেছিলেন। আর সেই ম্যাশআপই নেটপাড়ার অলিতেগলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনাভাইরাসের থেকেও দ্রুত হারে।