India’s Last Tea Shop: বিগত কয়েক বছরে ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট মার্কেট বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক হারে। কোভিড অতিমারির পর থেকে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে মানুষের মধ্যে UPI ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগিয়ে উপকৃত হয়েছেন আম আদমি। আমাদের মধ্যে বহু মানুষ আজকাল আর নিজের কাজে নগদ টাকা রাখেন না। পরিবর্তে ফোন পে, গুগল পে-র মতো ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবা ব্যবহার করেন মানুষ। তা সে এয়ার টিকিট বুকিং হোক বা মুদিদ্রব্য কেনাকাটি- ইউপিআই এখন মানুষের কাছে ভরসা। এমনকি চায়ের দোকানেও আজকাল ছোট্ট বিল পেমেন্টে ফোন পে ব্যবহার করছেন অনেকে। মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা সম্প্রতি কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, ভারতের একবারে শেষপ্রান্তের চা দোকানটি ডিজিটাল পেমেন্ট পরিষেবা ব্যবহার করছে। সেই ছবিগুলি তুলে ধরেছে দেশের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ল্যান্ডস্কেপ।
গত শুক্রবার এই বিজ়নেস টাইকুন উত্তরাখণ্ডের গ্রামের একটি চা দোকানের ছবি শেয়ার করেছেন। ১০,৫০০ ফুট উচ্চতায় থাকা সেই চা দোকান ইউপিআই গ্রহণ করছে, যা দেশের এক্কেবারে শেষ চায়ের দোকান। ব্যবসায়ী মাহিন্দ্রা ছবিটি শেয়ার করে লিখছেন, “যেমনটা তাঁরা বলে থাকেন, একটা ছবি হল এক হাজার শব্দের সমান। এই ছবিটা ভারতের ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমের শ্বাসরুদ্ধকর সুযোগ এবং স্কেলকে ক্যাপচার করে। জয় হো!”
??Bharat desh
The last village 10,500 feet elevation Uttarakhand Looks like UPI is there too… #digital_bharat pic.twitter.com/2xK4CAnFyV— அருள்மொழி வர்மன் 2.O (@arulmozhi2_O) November 3, 2022
আনন্দ মাহিন্দ্রার টুইট করা এই ছবিটি এর মধ্যেই প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের কাছাকাছি লাইক পেয়েছে। টেক্সটের সঙ্গে ছবিটিতে মাহিন্দ্রা মোট দুটি ছবি শেয়ার করেছেন। ছবিতে দোকানে এক পুরুষ ও মহিলাকে দেখা গিয়েছে, যাঁদের দুজনেই দোকানদার। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁরা ছবি তুলেছেন সহাস্য বদনে, যা নেটপাড়ায় বহু মানুষের মন জিতে নিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ছবিটি উত্তরাখণ্ডের মানা গ্রাম থেকে তোলা হয়েছে।
মিস্টার মাহিন্দ্রার শেয়ার করা এই ছবিটি এর মধ্যেই ৫০০-র কাছাকাছি রিটুইট করা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের একটা বিরাট অংশের মানুষের নজর কেড়েছে এই পোস্ট। প্রচুর ব্যবহারকারীকে এই ছবিতে রিপ্লাই করতে দেখা গিয়েছে। বহু মানুষ জানিয়েছেন, দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট কানেক্টিভিটি কী বিশাল পরিমাণ বৃদ্ধি চাক্ষুষ করছে।
একজন ব্যবহারকারী লিখছেন, “জীবনের নিরিখে একটা অভূতপূর্ব পরিবর্তন। আমিও সত্যি আজকাল আর আমার ওয়ালেট বহন করি না।” আর একজন যোগ করলেন, “স্যর এটা বিপ্লব। আমরা কীভাবে খরচ করি, সেই চিত্রটা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে।”
এই ছবিতে কমেন্ট করে তৃতীয় এক ব্যবহারকারী লিখলেন, “ডিজিটাল ভারতের জন্য একটি দুর্দান্ত অগ্রগতি এবং প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছানোর প্রশংসা করি।”