সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে, চান প্রতিটা অভিভাবক। তা সে পশু-পাখিরা হোক, আর হোক সে হুঁশ বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ। তেমনই একটা ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। জঙ্গলের অনতিদূরেরই কোনও এক রাস্তায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, হিংস্র এক চিতাবাঘ তার রক্তচক্ষু বের করে রয়েছে ছোট্ট কয়েকটি সজারু ছানার দিকে। সেই বাচ্চাদেরই এক্কেবারে জ়েড ক্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার ঢঙেই আগলে রাখছে তাদের অভিভাবকরা। টুইটারের এই ভিডিয়ো নেটপাড়ার লোকজনের নজর কেড়েছে।
ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস) অফিসার সুপ্রিয়া সাহু টুইটারে ছোট্ট এই ক্লিপটি শেয়ার করেছেন। ভিডিয়ো শেয়ার করে তিনি লিখছেন, “দুটি সজারুকে দেখা যাচ্ছে তাদের সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় হাঁটছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের পথ আটকাতে আসে একটি হিংস্র লেপার্ড। শুধু তাই নয়। সজারু ছানাদের ধরারও চেষ্টা করে ওই লেপার্ডটি। তারপর ওই সজারু অভিভাবকরা লেপার্ডের রক্তচক্ষু থেকে সন্তানদের বাঁচাতে রাস্তায় ঢাল তৈরি করে নিয়ে যায়।
Porcupine parents provide Z class security to their baby from a leopard,fighting valiantly & thwarting all attempts of the leopard to even touch their baby. Most incredible ❤️ By the way a baby porcupine is called ‘porcupette’. Video- unknown shared on SM pic.twitter.com/wUdVb3RTs7
— Supriya Sahu IAS (@supriyasahuias) January 20, 2023
টুইটারে ভিডিয়োটি শেয়ার করে সুপ্রিয়া সাহু লিখছেন, “সজারু অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের লেপার্ডের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে জ়েড ক্লাস নিরাপত্তা দেয়। লেপার্ড যাতে তাদের সন্তানদের স্পর্শ পর্যন্ত না করে, তার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় সজারু দম্পতি।” প্রসঙ্গত, সজারুকে পর্কুপাইন বলা হলে, সজারুর বাচ্চাকে বলা হয় পর্কুপেট।
প্রতিবেদনটি লেখার সময় ভিডিয়োর ভিউ 4 লাখ ছাপিয়ে গিয়েছে। এমন অভাবনীয় এনকাউন্টার দেখে নেটিজ়েনরা অবাক হয়ে গিয়েছেন। ভিডিয়োটি দেখে দারুণ সব মন্তব্যও করেছেন নেটপাড়ার লোকজন। একজন লিখলেন, “ভিডিয়োটি শেষ। কিন্তু তার প্রভাব আমার মনের মধ্যে রয়ে গিয়েছে। যেভাবে ওই সজারুরা এরকম একটা হিংস্র লেপার্ডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করে গেল, তাতে আমি সত্যিই স্তম্ভিত।” আর একজন লিখলেন, “এত বাধ্য একটা সন্তান, সত্যিই দেখা যায় না।”
তৃতীয় একজন যোগ করলেন, “আমি তাদের প্রশংসা করলেও কম হবে। যেভাবে তারা পিতামাতাকে কর্তব্যের সঙ্গে অনুসরণ করছে এবং অতিরিক্ত স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করছে না, তা আমাকে অবাক করেছে।” চতুর্থ ব্যক্তির বক্তব্য, “প্রকৃতির দ্বারা পরিচালিত একটি চলচ্চিত্রের মতো এই ভিডিয়ো। হিংস্র চিতাবাঘের হামলা থেকে সন্তানকে রক্ষা করতে যে ভাবে বাবা-মা তাদের আগলে রাখলেন, তা ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতা ছাড়া আর কিছু নয়।”