রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা, এমন কেন সত্যি হয় না আহা! তাঁর জন্মদিনে তাঁর কবিতা ধার করেই এমন এক ‘যাহা তাহা’ ঘটনা ঘটে যাওয়া দুনিয়ার এমন সত্যিই এক কাহিনির কথা জেনে নেওয়া যাক। পাওয়ার কাট হলে যে কত কী হতে পারে, তার ইয়ত্তা নেই! ভুল লোককে ঠিক ভাবা আর ঠিক লোককে ভুল ভাবা – লোডশেডিংয়ে (Power Failure) এ যেন কমন এক কাণ্ড। কিন্তু এবার যে বিদ্যুৎ বিপত্তির কারণে দুই মহিলার জীবনে বড়সড় বিপত্তি ঘটে গেল। বর বদল হয়ে গেল বিয়ের পিঁড়িতে বসা দুই কনে থুড়ি দুই বোনের। যাঁদের সঙ্গে দুই বোনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তাঁদের সঙ্গেই হল। খালি বর দুটি অদলবদল হয়ে গেল। আর তার ক্রেডিটের পুরোটাই নিয়ে নেবে লোডশেডিং নামক এক মহা বিপত্তিকর বিষয়। নেটপাড়ায় মধ্য প্রদেশের (Madhya Pradesh) এই ঘটনাই এখনও ভয়ানক ভাইরাল (Viral)।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে। রবিবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন রমেশলালের দুই কন্যা, নিকিতা এবং করিশ্মা। ছাপোষা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার। আলাদা আলাদা করে দুই কন্যার বিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রমেশলালের নেই। অগত্যা আদরের দুই মেয়েকে একই দিনে, একই মণ্ডপে বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন। আর তাঁদের বিয়ের হওয়ার কথা ছিল, মধ্যপ্রদেশেরই দাংওয়ারার ভোলা এবং গণেশ নামের দুই যুবকের সঙ্গে। ভোলা এবং গণেশ দুজনে আলাদা পরিবারের ছেলে।
দুই কনের পরনেই পোশাক ছিল এক, তাঁদের সাজগোজও ছিল এক। আর তাঁরা ছিলেন পর্দার আড়ালে। নিকিতার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ভোলার সঙ্গে। অন্য দিকে করিশ্মা মালা পরাতেন গণেশেরে গলায়। সব কিছু ঠিক ছিল। যথাসময়ে পৌঁছে গিয়েছিল পাত্রপক্ষরা। পুরোহিত মন্ত্রপাঠও শুরু করে দিয়েছিলেন। আর এমন সময়েই হুট করে লোডশেডিং।
ব্যস! পাত্ররা অদলবদল হয়ে গেল। তেমনই বদলে গেল পাত্রীরাও। গণেশ মালা পরিয়ে দিলেন নিকিতাকে আর করিশ্মা বিয়ে করলেন ভোলাকে – ঠিক উল্টোটা হল আর কী। ভুলটা তখনই ধরা পড়ল, যখন রাত পেরিয়ে সকাল হল। আর ততক্ষণে যে যার বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন। বাড়ি গিয়েই একে অপরে লক্ষ্য করেন, “এর সঙ্গে তো আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল না।”
বর-কনেদের পরের দিন ফের বিয়ের অনুষ্ঠান করতে হয়। তারপরই যে যার সঠিক স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি যান।