শাশুড়ি আর বউমা-র ‘তু তু ম্যয় ম্যয়’ কাহিনি আমরা সারাদিনই দেখে চলেছি। সামান্য বিবাদ থেকে যে কত বড় কাণ্ড ঘটে যেতে পারে, তা আমাদের দেখিয়ে দেখিয়ে অভ্যস্ত করে দিয়েছে ডেলিসোপগুলি। কিন্তু এবার বাস্তবেই যা ঘটনা ঘটল, তা দেখে সকলের চক্ষু চড়কগাছ। উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) আলিগড় জেলার এই ঘটনার ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল (Viral Video)। পরিবারের বউমাকে দেখা গেল, শাশুড়ি ও ননদকে বেধড়ক মারধর করতে। বউমার মারে আহতও হন শাশুড়ি ও ননদ। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে উল্টে তাঁরা আরও অভিযোগ করেছেন।
পরিবারের কর্তা মারা গিয়েছেন কয়েক দিন আগেই। স্বামী মারা যাওয়ার পর ভাড়া বাড়িতে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থাকতে শুরু করেন মহিলা। এদিকে মৃত ব্যক্তির পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। কিন্তু বান্না দেবী পুলিশ স্টেশনের সরাই হাকিমে ওই পৈতৃক বাড়িটি একপ্রকার দখল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও কন্যা। সেই বাড়িটি দখল করেছেন তাঁরই পুত্রবধূ।
সেই পৈতৃক বাড়ি থেকে এই ভাবেই মারধর করে শাশুড়ি ও ননদকে বের করে দেয় পুত্রবধূ। ছেলের বউয়ের মারে আহত মহিলা রাজকুমারী দেবী জানিয়েছেন যে, তাঁর স্বামী বছর দুয়েক আগে মারা গিয়েছেন। তারপর থেকেই সম্পত্তি ও বাড়ির দখল নিতে পুত্রবধূ এই ভাবে তাঁকে ও তাঁর কন্যাকে অত্যাচার করে বলে তিনি আরও অভিযোগ করেছেন। জানা গিয়েছে, মহিলার পুত্রবধূর নাম জয়া। তবে সম্প্রতি ওই মহিলা যখন তাঁর কন্যাকে নিয়ে পুরাতন বাড়িতে গেলেন, তখন যেন মাত্রাই ছাড়িয়ে গেলেন তাঁর পুত্রবধূ।
রাজকুমারী দেবীর কথায়, “আমি আমার মেয়েকে নিয়ে আমাদের পৈতৃক বাড়িতে সবেমাত্র পৌঁছেছি। এমন সময় পুত্রবধূ জয়া আমাকে ও আমার কন্যাকে বেধড়ক মারধর করে। আমাদের সারা শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে।” আর এই পুরো ঘটনাটারই তখন ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়। মহিলা দাবি করেছেন, পুলিশ সব জানা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এই যন্ত্রণায় বৃদ্ধ মা তাঁর মেয়েদের নিয়ে এসএসপি কালানিধি নাইথানির অফিসে পৌঁছান। কিন্তু এসপিও তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি বলে মহিলা আরও যোগ করেছেন।