অপ্টিক্যাল ইলিউশনের ছবিগুলি মানুষকে বড্ড ভাবায়! আর ভাবায় বলেই তো এমন ছবির ধাঁধাগুলি নিয়ে চতুর্দিকে এত হইচই। অপ্টিক্যাল ইলিউশনের এই ছবিগুলো শুধু ছবিই নয়। তার থেকেও কয়েক কদম এগিয়ে, এই ছবিগুলি আপনার মস্তিষ্কের ব্যায়ামও করায়। শুধু তাই নয়। এই ছবিগুলি আপনার ব্যক্তিত্বের বিশেষ দিকও তুলে ধরতে পারে। তেমনই একটা ছবির ধাঁধা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে নেটপাড়ায়। যে ছবিটা আপনি দেখছেন, সেখানে সবুজ জঙ্গল নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। বুঝতে এ-ও পারছেন, যে জায়গা থেকে ছবিটা তোলা হয়েছে, সেই ক্ষেত্রটা শ্যাওলা মাখা। কিন্তু সেই সবুজের মাঝেই রয়েছে ছোট্ট একটা পাখি। তাকেই খুঁজে বের করতে হবে আপনাকে। যিনি এই ছবির ধাঁধা তৈরি করেছেন, তাঁর দাবি জিনিয়াস না হলে এখান থেকে পাখিটিকে খুঁজে বের করা সত্যিই কঠিন।
একটা বিষয় পরিষ্কার নয় যে, ছবিটি আদৌ তোলা নাকি তৈরি করা। তার কারণ ছবিতে যে পাখিটি রয়েছে, তা সচরাচর দেখা যায় না বলে জানিয়েছেন নেটপাড়ার বাসিন্দারা। আর পাখির সেই রঙেই লুকিয়ে রয়েছে এই অপ্টিক্যাল ইলিউশনের সবথেকে বড় ইঙ্গিত। এবার বুঝতে পারছেন!
ছবিতে একটি সবুজ রঙের পাখি দেখা গিয়েছে। সবুজ পাখি তো অনেক দেখি আমরা। টিয়ার রংই তো সবুজ। তাহলে সমস্যাটা কোথায়? আসলে সমস্যাটা অন্য জায়গায়। কারণ, এই ছবির পাখির রংটাও অনেকটা কিছুটা শ্যাওলা মিশ্রিত। এবার আপনিই বলুন, এরকম শ্যাওলা রঙা, সর্বোপরি সেই শ্যাওলার টেক্সচারের পাখি আগে কখনও দেখেছেন?
ধন্দটা সেখানেই। তার কারণ এই ছবিটা তোলা নাকি গ্রাফিক্সের কারসাজিত এমনটা হয়েছে, তা বোঝা যায়নি। আর বোঝা যায়নি বলেই ওই পাখিটির এমন বর্ণ, টেক্সচার, সত্যিই এমনতর পাখি রয়েছে কি না, সেই রহস্যগুলিও উন্মোচিত হয়নি। সে যাই হোক না কেন। এই ছবিতে যে একটি পাখি রয়েছে এবং সেই পাখির রং যে সবুজ, তা আপনি এতক্ষণে বুঝে গিয়েছেন। এবার 10 সেকেন্ডের মধ্যে চট করে পাখিটাকে খুঁজে বের করুন তো।
অনেকক্ষণ হয়ে গেল কিন্তু। আর কত সময় নেবেন। তাহলে আসুন, আর একটা হিন্ট দিই। ছবিটার বাঁ দিকে একবার ভাল করে তাকিয়ে দেখুন। মনোযোগ সহকারে দেখুন, একটা চোখ জ্বলজ্বল করছে বুঝতে পারবেন।
এখনও পারলেন না? তাহলে নীচের ছবিটাই দেখে নিন।