Latest Viral Video: দুর্ঘটনা যে কখন, কোথায় ঘটে যেতে পারে, তা কেউ বলতে পারে না। তাই তো তাকে দুর্ঘটনা বলে। বাস বা গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে অনেকে বলে থাকেন, চালকের দোষে হয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি কেউ ইচ্ছা করে প্রাণ সংশয়ে ফেলতে চান? তেমনই একটি ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিউতি। শিউরে উঠতে হয় সেই ভিডিয়ো দেখলে। চলন্ত স্কুলবাসে (School Bus) হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হয় ড্রাইভারের (Driver)। সিটে বসেই অবচেতন হয়ে পড়েন তিনি। ঠিক সেই সময়ই এক পড়ুয়া নিজের সিট থেকে উঠে এসে বাসের স্টিয়ারিংয়ে হাত দেয়। প্রাণ বাঁচায় সেই স্কুলের অসংখ্য পড়ুয়ার, যাঁরা সেই সময় বাসে ছিলেন।
টুইটারে @Enezator নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। চমকে দেওয়ার মতো এই ভিডিয়োটি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ধরা পড়েছে স্কুলবাসের অন্দরের ছবিটা। ভিডিয়োতে দেখা গেল, বাস চালাতে-চালাতে হঠাৎ করেই হার্ট অ্যাটাক হয় চালকের। চালকের এমনতর অবস্থা দেখে সিট থেকে উঠে আসে এক পড়ুয়া। সে হাল ধরতেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচে সেই বাসে থাকা তার সহপাঠীরা এবং সিনিয়ররা। দিব্যি স্টিয়ারিং ঘুরিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করে বাসটিকে, সেখানে থাকা অন্যান্য পড়ুয়া, এমনকি সেই ড্রাইভারকেও।
School bus driver suffers heart attack and 13-year-old gets behind the wheel and saves all children’s lives pic.twitter.com/V0hoandvnt
— Great Videos (@Enezator) March 22, 2023
বাসের ভিতরে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় পুরো ঘটনাটি ধরা পড়েছে। সেই ভিডিয়োই এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। যদিও ঘটনাটি কোথাকার, সে বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে এই স্কুলবাস যে ভারতের নয়, তা ভিডিয়ো থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলছাত্রের বয়স 13 বছর। ড্রাইভারের হার্ট অ্যাটাক হতে ওই ছেলেটিই বাস চালায় বলে একাধিক রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে।
বাসের মধ্যে থাকা পড়ুয়ারা প্রথমে বুঝতে পারেনি যে, কেন বাসটা এরকম ভাবে নড়বড় করছে। চালকের দিকে নজর ঘুরতেই তারা বুঝতে পারেন, শরীরে কোনও সমস্যা হয়েছে তাঁর এবং সেই কারণেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। তারপর 13 বছরের সেই পড়ুয়া স্টিয়ারিংয়ে হাত দিয়ে কোনও রকমে বাসটিকে থামায়। তাতে বহু পড়ুয়ার প্রাণ বাঁচে।
গত 22 মার্চ এই ভিডিয়োটি টুইটারে পোস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যেই তার ভিউ 35.9M। প্রচুর মানুষ রিটুইটও করেছেন। কমেন্ট সেকশনে একজন লিখছেন, “হুট করে যেন হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা খুব বেড়ে গিয়েছে। এই শিশুটি যেভাবে স্টিয়ারিংয়ে হাত দিয়ে এত মানুষের প্রাণ বাঁচাল, তাতে আমি অবাক।” আর একজন যোগ করলেন, “এই ছেলেটা হল বীর।”