বিশ্বের জনপ্রিয়তম ফুটবল স্টেডিয়ামগুলির একটি হল ইতালির মিলানের সান সিরো স্টেডিয়াম। সে দেশের সর্ববৃহৎ ফুটবল স্টেডিয়াম। তবে সেই স্টেডিয়ামের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোড়ন ফেলেছে। কী এমন রয়েছে সেই স্টেডিয়ামে? সত্যি কথা বলতে গেলে কী, সেই স্টেডিয়ামটি হল একপ্রকার গোলকধাঁধার প্রকৃত উদাহরণ। আজকাল অপ্টিক্যাল ইলিউশনগুলি কীরকম ভাইরাল হচ্ছে দেখছেন তো? এই ভিডিয়োটাও সেরকম, একপ্রকার অপ্টিক্যাল ইলিউশন।
টুইটারে Tech Burrito নামক একটি পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “ইতালির মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে মানুষের অবরোহণ আমাদের মস্তিষ্কের জন্য যেন একরকম দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি করছে। মনে হচ্ছে, সিঁড়িটি যেন বিপরীত দিকে ঘুরছে।”
The descending movement of people at San Siro Stadium in Milan, Italy creates the illusion for our brains that the staircase appears to turn in the opposite direction.
pic.twitter.com/VuUAhQU9C4— Tech Burrito (@TechBurritoUno) February 2, 2023
কিন্তু এরকম আবার হয় নাকি কখনও? উল্টো দিকে ঘুরতে পারে নাকি সিঁড়ি? সত্যিই যদি তা হতো, তাহলে সিঁড়ি দিয়ে কেউ উঠতেনই বা কীভাবে আর নামতেনই বা কীভাবে? আসলে মিলানের এই ফুটবল স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে নলাকার বা সিলেন্ড্রিক স্টাইলে। ফলে, মানুষজন যখন এই সিঁড়িগুলি ব্যবহার করছেন, তখন বিল্ডিংটিই যেন নিজে থেকে সরে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এবার আপনিই বলুন, এই ভিডিয়ো অপ্টিক্যাল ইলিউশন নয় তো কী!
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয় হয়েছে ভিডিয়োটি। প্রায় 11 হাজারেরও বেশি মানুষ লাইক করেছেন এই ভিডিয়ো। সেই সঙ্গে ভিডিয়োটির ভিউ প্রায় 2 মিলিয়ন ছাপিয়ে গিয়েছে। টুইটারে ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনই বুঝিয়ে দিয়েছে, এই ভিডিয়ো দেখে মানুষজন কতটা অবাক হয়েছেন। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেননি, কীভাবে এই অবাক কাণ্ডটা সম্ভব হয়েছে।
একজন ইউজার লিখেছেন, “আমার মনে হচ্ছিল, এই সিঁড়িটি এক ফোঁটাও ঘুরছিল না। সিঁড়ির উপরের দিকে যদি তাকাই এবং মানুষজনের দিকে যদি ফোকাস করি, তাহলে এটা দেখে কখনই মনে হবে না যে ঘুরছে। যদিও এমনটা সত্যিই হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।” আর একজন ইউজার যোগ করলেন, “আমি কোনও সিঁড়িই দেখতে পাচ্ছি না। এটা আসলে একটা র্যাম্প। লোকে যে দিকে যাচ্ছে, বিল্ডিংটিও সে দিকে ঘুরছে, বিপরীত দিকে নয়। তবে সে যাই হোক না কেন। ভিডিয়োটা দারুণ।”