Latest Viral News: পড়ুয়াদের রিপোর্ট কার্ডে শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকরা সব সময়ই চান, তাঁদের সন্তানদের নিয়ে শিক্ষকরা কী ভাববেন, সেই মতামত যেন রিপোর্ট কার্ডেই তুলে ধরা হয়। কিন্তু এক শিক্ষক এমনই মতামত দিলেন, যা দেখে নেটদুনিয়ার চক্ষু চড়কগাছ! পড়ুয়ার রিপোর্ট কার্ডে শিক্ষকের ভুল যেন অভিভাবকদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। এক পড়ুয়ার 2019 সালের রিপোর্ট কার্ড এটি। Term Three-এর সেই রিপোর্ট কার্ডে দেখা গিয়েছে, ওই পড়ুয়া (Student) তার ক্লাসে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। কিন্তু তারপরেও মার্কশিটে ‘সে মারা গিয়েছে’ (She Has Passed Away) লিখে দিয়েছেন শিক্ষক (Teacher)। তিনি যে ভুল করেই লিখে ফেলেছেন, তা অনুমান করা যায়। কিন্তু শিক্ষক যদি এমন ভুল করেন, তাহলে পড়ুয়ারা কী করবে, সেই প্রশ্নই উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অনন্ত ভান নামের এক ব্যবহারকারী টুইটারে এই ছবিটি পোস্ট করেছেন। কয়েক হাজার লাইক পড়েছে ছবিতে, রিটুইট করেছেন বহু মানুষ। ওই ইউজার জানিয়েছেন, তিনি এই ছবিটি ফেসবুক থেকেই পেয়েছেন। এই ঘটনা দেশের নাকি বিদেশের কোনও প্রান্তে ঘটেছে, সেই বিষয়টি তিনি জানাতে পারেননি। রিপোর্ট কার্ডের আর একটি বিষয় নজর কেড়েছে। তা হল আফ্রিকার মালাউইয়ের জাতীয় ভাষা চিচেওয়াকে রিপোর্ট কার্ডে একটি বিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
Oh, lord
Via FB pic.twitter.com/PApNboMp3X— Anant Bhan (@AnantBhan) March 27, 2023
পড়ুয়ার রিপোর্ট কার্ডে দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ বিষয়েই সে ‘Good’ পেয়েছে। কিছু কিছু বিষয়ে আবার ‘Excellent’ ও পেয়েছে সে। কেবল ইংরেজিতেই ‘Average’ পেয়েছে ওই পড়ুয়া। কিন্তু এত ভাল নম্বর যার, প্রতিটা বিষয়ে ভাল দখল যার, সে কি না শিক্ষকের ভাষায় মারাই গিয়েছে। এই প্রশ্ন তুলেই নেটিজ়েনরা ওই শিক্ষকের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তবে অনেকেই ধরতে বলেছেন যে, ওই শিক্ষক আসলে পড়ুয়ার রিপোর্ট কার্ডে ‘Passed’ লিখতে গিয়ে ‘Passed Away’ লিখে ফেলেছেন, যা এক্কেবারেই ভুলবশত।
এখন এই নিয়ে তো নেটিজ়েনরা মজাও করে চলেছেন! একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “যে চলে গিয়েছে, ঈশ্বর তাকে অনেক ভাল রাখবে। এত ভাল রেজ়াল্ট নিয়ে ঈশ্বরের কাছে গিয়ে যাতে সে একটা ভাল কেরিয়ার গড়তে পারে, আশা করি তিনি তা দেখবেন।” আর একজন যোগ করেছেন, “সম্পূর্ণ এডিট করা একটি ছবি। খুব বাজে এডিটটা হয়েছে। আর একটু ভাল করে এডিট করলে ব্যাপারটা ধরা যেত না।” তৃতীয় জন যোগ করলেন, “এই খবরের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত নই। স্কুলের নাম নেই। শিক্ষকের স্বাক্ষর নেই। ভাইরাল করার জন্য এডিটেড হতে পারে।”