Viral: আসল ভেবে ডামি টয়লেটে মলত্যাগ সন্তানের, বিব্রত অভিভাবকের ফেসবুক পোস্ট এখন ভাইরাল

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Jun 16, 2022 | 5:21 PM

Son Poops In Store's Dummy Toilet: সত্যিকারের টয়লেট ভেবে ডামিতে মলত্যাগ করে বসল একরত্তি। তার অভিভাবক যখন সেখানে পৌঁছলেন, ততক্ষণে আর কিছুই করার ছিল না। ঠিক কী ঘটেছিল, একবার দেখুন।

Viral: আসল ভেবে ডামি টয়লেটে মলত্যাগ সন্তানের, বিব্রত অভিভাবকের ফেসবুক পোস্ট এখন ভাইরাল
কী কাণ্ড! ছবি: ফেসবুক।

Follow Us

আমরা তখন শিশু। ঠিক-ভুল বোঝার বোধটা তখনও তৈরি হয়নি আমাদের মধ্যে। আর শিশু অবস্থায় যে আমরা বাবা-মাকে কত বার কত দিক থেকে বিব্রত করেছি, তার ইয়ত্তা নেই। কখনও পাবলিক প্লেসে কিছু ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি, কখনও আবার হল ভর্তি লোকজনের সামনে তারস্বরে চিৎকার করেছি। তেমনই এক বাচ্চার দেখা মিলল। এমনই কাণ্ড ঘটাল সে, যার জন্য খুব বিব্রত হতে হল তার মা-বাবাকে। ক্যাজ় ওয়েন এবং অ্যারন আখতার ব্রিটেনের বিঅ্যান্ডকিউ স্টোরে গিয়েছিলেন বেড়াতে। সেখানে তাঁদের সন্তানের নজরে আসে একটি ডামি টয়লেট (Dummy Toilet)। সে ছেলে ওটাকেই আসল ভেবে সেখানে মলত্যাগ (Poops) করে। তারপর যা ঘটল, তা একদিকে যেমন খুবই হাসির, আর একদিকে খানিক অস্বস্তিরও বটে।


পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে ওই স্টোরে যাত্রা এবং তারপরের ঘটনাটি সম্পর্কে ফেসবুকে জানিয়েছেন ক্যাজ়। তিনি জানিয়েছেন যে, ডিসপ্লে টয়লেটগুলি তাঁর সন্তানের এতটাই আকর্ষণীয় মনে হয় যে, সেখানেই সে মলত্যাগ করে ফেলে। মা-বাবা বা দোকানের কাউকে সে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন বোধ করেনি। একটা টয়লেট সিট পছন্দ হয়ে যায় আর সেখানেই প্রাতঃকৃত্য সেরে ফেলে সে। অভিভাবক যখন সেখানে পৌঁছালেন, ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে।

ফেসবুক পোস্টে ক্যাজ় লিখছেন, “আমি বুঝতেই পারলাম না কী হয়েছিল। হঠাৎ দেখলাম একটা ডিসপ্লে টয়লেটে আমার সন্তান বসে পড়েছে। তারপর তাকে তুলতে গিয়ে দেখি, মলও ত্যাগ করে ফেলেছে। আমরা তখন ওই স্টোরের অন্যান্য জিনিসপত্র ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। যখন ওর কাছে এলাম, তখন আমাদের অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল।”

স্টোরের এক কর্মী সমগ্র ঘটনাটি সচক্ষে দেখেছেন এবং তিনি এই ঘটনাকে খুব মজার চোখেই দেখেছেন। ক্যাজ় বলছেন, “ওই কাণ্ড দেখে আমি কিছু শুকনো কাপড় আনতে যাই। কারণ, আমার ছেলে বলছিল, ওর আরও একটু বাকি আছে। তাই সে ডিসপ্লে টয়লেটটিতেই বসে ছিল। কিন্তু আমার স্বামী ভেবে পাচ্ছিলেন না যে, তাঁর তখন কী করা উচিৎ। স্টোরের এক কম বয়সী কর্মীকে দেখলাম, ঘটনাটা চাক্ষুষ করার পর খুবই হাসাহাসি করছিলেন। আমি তাঁকে কোনও ভাবেই দোষারোপ করতে পারি না।”

ঘটনাটি সম্পর্কে নিডটুনো ডট কম নামক একটি ওয়েবসাইটের কাছে ক্যাজ় বলেছেন, “বিষয়টা দেখার পর আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছিলাম। কিন্তু পরে আমাদের খুবই মজা লাগে এবং হাসিতে ফেটে পড়ি আমরা। আমি এবং আমার স্বামী তড়িঘড়ি শুকনো কাপড় দিয়ে জায়গাটা পরিষ্কার করে দিই। কিন্তু বাড়ি ফিরেও যেন আমাদের হাসি থামছিল না।”

এই ভাইরাল পোস্টটি ফেসবুকে প্রায় ২৫ হাজার লাইক পেয়েছে এবং ৩৭ হাজার শেয়ার হয়েছে।

Next Article