Latest Viral Video: আপনি নিশ্চয়ই কখনও না কখনও সার্কাস দেখেছেন। সার্কাসে সিংহ, ভাল্লুক, হাতির মতো বন্য প্রাণীদের নিয়ে খেলা দেখানো হয়। অনেক দেশেই খাঁচায় পশু রাখা এবং সার্কাসে পশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু তাতেও এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে সার্কাসের প্রচলন কমেনি। ভারতেও মতো দেশেও প্রচুর চিরিয়াখানা রয়েছে। তাতে প্রতিনিয়ত মানুষের ভিড়ও হয়। আর শুধু তাই নয়, এমন অনেক চিরিয়াখানা রয়েছে যেখানে তাদের ঠিকভাবে পরিচর্যা করা হয় না। পর্যাপ্ত পরিমানে খাবারও দেওয়া হয় না। আর সাকার্সের ক্ষেত্রে তো আরও ভয়ানক দৃশ্য় চোখে পড়ে। যেখানে তাদের নির্মম অত্যাচার করে ট্রেনিং দেওয়া হয়। তার অনেক ঘটনাই বিভিন্ন সময় উঠে আসে। তেমনই চিনের লুয়াং শহরের একটি মর্মান্তিক ভিডিয়ো ভাইরাল (Video Viral) হয়েছে। যেখানে দু’টি সিংহকে (Two Lions) নিয়ে সার্কাসে খেলা দেখানো হচ্ছিল। তাও আবার হাতে লাঠি নিয়ে ক্রমাগত তাদের আঘাত করছিলেন দুই ব্যক্তি। কিন্তু জঙ্গলের রাজা তা সহ্য করতে নারাজ। তাই এমন কিছু করে বসল যা দেখলে আপনি চমকে উঠবেন।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, দু’টি সিংহ সার্কাসে খেলা দেখাচ্ছে। কিন্তু ট্রেনার যা করতে বলছেন, তা একেবারেই করতে নারাজ সিংহ দু’টি। তাতেই রেগে যান দু’জন ট্রেনার। লাঠি দিয়ে তাদের আঘাত করতে থাকে। তখনই লাইভ পারফরম্যান্সের সময় তাদের ঘের থেকে বেরিয়ে আসে সিংহ দু’টি। আর ছুটে দর্শকদের দিকে পৌঁছে যায়। এতে দর্শকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সার্কাস দেখছিলেন এমন অনেকেই তখন সিংহের খাঁচায় ঢুকে পড়ে। আর অনেকেই সার্কাস ছেড়ে পালিয়ে যায়। সিংহের খাঁচার দরজা খোলা ছিল, যার কারণে সিংহ দু’টিই দরজা থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু সূত্রের খবর, উভয়কেই পরে ধরা হয়েছিল এবং খাঁচায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
Luoyang, Henan, China
Everything went wrong!
It is clear that these animals do not want to do these silly tricks. Leave the animals alone and let them live their lives in peace.
I think these lions look skinny. How are they punished now? Beating and starving?#animalcruelty pic.twitter.com/ypkV4HNx7c
— We Are Not Food (@WeAreNotFood) April 16, 2023
ভিডিয়োটি দেখে অনেকে অনেক কমেন্টও করেছেন। কেউ বলেছেন, “বনের পশুদের এভাবে মানুষের মজার জন্য ব্যবহার করবেন না।” আর একজন কমেন্ট করেছেন, “শুধু মাত্র মানুষের একটু আনন্দের জন্য ওদের উপর দিনের পর দিন এভাবে অত্যাচার চলে আসছে।”