বর্ধমান: ডাক্তারি পড়ার ভর্তিতেও বেনিয়ম! এবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের স্বাক্ষর ও স্ট্যাম্প জাল করে ডাক্তারিতে ভর্তি করার নামে টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতারও করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতেরা ভিন জেলায় বসেই ডাক্তারিতে ভর্তির নামে জালিয়াতি চক্র চালাত বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম বিক্রম ঠাকুর,রহমান এস কে ওরফে রাজু , এসকে সন্তু ও পীযূষ কান্তি ঘড়ুই। এদের মধ্যে কেবল বিক্রম বর্ধমান জেলার শক্তিগড় থানার সিনেমাতলা এলাকার বাসিন্দা। বাকিরা ভিন জেলার বাসিন্দা। রহমান এস কে ওরফে রাজু উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের বাসিন্দা, এসকে সন্তু দক্ষিণ কলকাতার কসবা এবং পীযূষ কান্তি ঘড়ুই নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা। এদের গ্রেফতারের পর শনিবার চারজনকে বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিক্রম ঠাকুর,রহমান এস.কে ওরফে রাজু , এস.কে সন্তু ও পীযূষ কান্তি ঘড়ুই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারিতে ভর্তি করার নাম করে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি জানতে পেরেই নড়েচড়ে বসেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল। তাঁকে আড়ালে রেখেই কী ভাবে তাঁর স্বাক্ষর ও স্ট্যাম্প জাল করা হচ্ছিল, তা ভেবে হতবাক হয়ে যান তিনি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরফে গোটা বিষয়টি তিনি বর্ধমান থানায় জানান। এরপর জালিয়াতির তদন্তে নেমেই চার জায়গা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। তবে এখানেই শেষ নয়, ডাক্তারিতে ভর্তির নামে টাকা নেওয়ার ঘটনায় আরও অনেকে জড়িয়ে থাকতে পারে এবং পিছনে কোনও চক্র থাকতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং এব্যাপারে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে বর্ধমান থানার পুলিশ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ-দুর্নীতির ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। পরীক্ষা না দিয়েও অথবা পরীক্ষায় পাশ না করেও শিক্ষকতার চাকরি পাওয়ার একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। অনেকের চাকরি বাতিল করারও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার ঘটনায় একের পর এক পাণ্ডা গ্রেফতার হচ্ছেন। এর সঙ্গে এবার নতুন সংযোজন হল, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডাক্তারিতে ভর্তির ঘটনা।