Python: তাড়া খেয়ে গাছের মগডালে উঠল পাইথন
Jalpaiguri News: ময়নাগুড়ি এলাকায় সাধারণত দু-ধরনের পাইথন দেখা যায়- বার্মিজ পাইথন ও ইন্ডিয়ান রক পাইথন। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান রক পাইথন বেশি দেখা যায়। সম্প্রতি বিশালাকার একটি পাইথন ধরা পড়েছিল পরিবেশপ্রেমীদের হাতে।
ময়নাগুড়ি: রাত-দুপুরে সাপের আতঙ্ক। রাতের খাওয়া-দাওয়া সেরে বিছানায় ঘুমোতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই ঘরের সিলিংয়ের দিকে নজর পড়ে। আর তারপরই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় ময়নাগুড়ি (Moynaguri) শহিদগড় পাড়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের। এ কি কাণ্ড! মস্ত বড় পাইথন (Python) পেঁচিয়ে রয়েছে সিলিংয়ের কাঠে। এরপর বুকে ভয় নিয়েই বাড়ির সকলে মিলে সাপটিকে ঘর থেরে বের করার চেষ্টা করেন। তখন সাপটি ওই ঘর থেকে বেরিয়ে টিনের চালে উঠে যায়। তারপর আবার তাড়া খেয়ে উঠে যায় পার্শ্ববর্তী গাছের একেবারে মগজালে। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর এমনই ঘটনায় ঘুম উড়েছিল রফিকুল ইসলামের পরিবার-সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
যদিও রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয়দের তৎপরতায় বড় কোনও বিপদ ঘটেনি। গাছের মগডালে উঠে একেবারে ডাল পেঁচিয়ে ঘাপটি মেরে বসে ছিল সাপটি। রফিকুল ইসলাম-সহ প্রতিবেশীরা রাতেই খবর দেন ময়নাগুড়ি পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সম্পাদক নন্দু রায়ের কাছে। খবর পেয়ে ওই রাতেই তিনি দলবল নিয়ে ছুটে যান এবং সাপটিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।
গাছের মগডাল থেকে মস্ত পাইথন সাপ নামানো সহজ কাজ ছিল না। নন্দু রায় ও তাঁর সহকারীরা মই বেয়ে টিনের চালে উঠে প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে চেষ্টার পর সাপটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সমর্থ হন। তারপর সাপটি একটি বস্তায় ভরে নিয়ে যান। পরে সেটি বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সাপটি সম্পর্কে পরিবেশপ্রেমী নন্দু রায় বলেন, “এটি বার্মিজ প্রজাতির পুরুষ পাইথন ছিল। লম্বায় প্রায় ৭ ফুট হবে। উদ্ধারের পর আমরা বন দফতরের হাতে তুলে দিয়েছি।” সাপটি আরও এক বছর বাঁচলে লম্বায় ৯-১০ ফুট হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ময়নাগুড়ি এলাকায় সাধারণত দু-ধরনের পাইথন দেখা যায়- বার্মিজ পাইথন ও ইন্ডিয়ান রক পাইথন। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান রক পাইথন বেশি দেখা যায়। সম্প্রতি বিশালাকার একটি পাইথন ধরা পড়েছিল পরিবেশপ্রেমীদের হাতে। সেটির গলা এত বড় ছিল যে, মানুষ পর্যন্ত গিলে ফেলতে পারে।