Dakshin Dinajpur : আখের রস বিক্রি করে চলত সংসার, ছাই চাপা আগুনে পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন কান্দু

Rupak Sarkar | Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 28, 2023 | 8:10 PM

Dakshin Dinajpur : পতিরাম থেকে বাউল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রাইস মিল রয়েছে। সেই সব রাইস মিলের ছাই ফেলে দেওয়া হয় রাস্তার পাশেই।

Dakshin Dinajpur : আখের রস বিক্রি করে চলত সংসার, ছাই চাপা আগুনে পড়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন কান্দু

Follow Us

পতিরাম: রাইস মিলের ফেলা ছাইয়ে অগ্নিদগ্ধ মৃত্যু হল ১ আখের রস ব্যবসায়ীর। মৃত ওই রস ব্যবসায়ীর নাম কান্দু দাস(৬৩)। বাড়ি পতিরাম থানার পার পতিরামে। মঙ্গলবার সকালে বালুরঘাট (Balurghat) জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই ব্যবসায়ী। এরপরই ক্ষুব্ধ জনতা পার পতিরামের মৃতদহ নিয়ে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পতিরাম থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পথ অবরোধ শুরু হতেই তা তুলে দেয় পুলিশ৷ এদিকে এদিকে সকাল থেকেই স্থানীয়রা প্রথমে ওই ছাইয়ের আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। পরে খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এর আগেও ওই ছাইয়ে পরে একটি শিশু অগ্নিদগ্ধ হয়। তারপরে এদিন এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন রাইস মিলের ছাই ফেলা হয় ওই এলাকায়। যদিও এনিয়ে রাইস মালিকদের তরফে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পতিরাম থানার পুলিশ৷ 

জানা গিয়েছে, পতিরাম থেকে বাউল পর্যন্ত বেশ কয়েকটি রাইস মিল রয়েছে। সেই সব রাইস মিলের ছাই ফেলে দেওয়া হয় রাস্তার পাশেই। পতিরাম আত্রেয়ী ব্রিজের জাতীয় সড়কের ধারে স্তৃপাকারে পড়ে থাকে ছাই।  উপরে দেখতে শুকনো ছাই মনে হলেও ভিতরে থাকে ছাই চাপা আগুন। আগ্নেয়গিরির মত জলন্ত অবস্থায় থাকে ছাই। যা বুঝতে না পেরে কেই তার উপর দিয়ে হাঁটলেই ঘটে যায় বিপদ। এদিকে মৃত কান্দু দাসের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। আখের রস বিক্রি করেই তাঁর পুরো সংসার চালাতো। 

এদিকে গত সপ্তাহেও এক কিশোর ওই ছাইয়ের স্তূপে পড়ে গিয়ে আগুনে ঝলসে যায়। এদিন ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রতিবাদে বিকালে মৃতদেহ নিয়েই পার পতিরাম এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বাসিন্দারা৷ যদিও বা কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ওই অবরোধ তুলে দেয়। এদিকে দুর্ঘটনার পরে ছাইয়ের স্তূপ সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসন। 

এ বিষয়ে মৃতের পরিবারের আত্মীয় প্রহ্লাদ দাস বলেন, “ওই এলাকায় গরম ছাই ফেলে গিয়েছিল কেউ বা কারা। আমার মামা বুঝতে পারেনি। মগ তুলতে গিয়ে গরম ছাইয়ের মধ্যে ডুবে যায়। সোমবার বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয়েছে।” অন্যদিকে, পার পতিরাম এলাকায় বাসিন্দা সঞ্জিত মণ্ডল বলেন, “এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা রাইস মিলের ছাই ফেলে যায়৷ আর উপরে ছাই দেখা গেলেও ভেতরে জলন্ত আগুন থাকে। এর আগেও একটা শিশু ছাইয়ের মধ্যে পরে ঝলসে যায়। বিষয়টি নিয়ে আগেও পুলিস প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করেনি।”

Next Article