প্রীতম দে: ১০১ দিন। পায়ে পায়ে গোটা ভারতবর্ষ(All India Tour)। বয়স ৫৯। তিনি ঠাকুরদাস শাসমল। ‘দাসু দা’ নামেই এক ডাকে চেনেন সবাই। সঙ্গী মনোজ মান্নাকে নিয়ে তিনি ঘুরে বেরিয়েছেন উত্তর থেকে দক্ষিণে। কর্ণাটক, মধ্য প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র । পরিসীমায় অপরিসীম পরিধি। করোনা আবহের মধ্যেই গত ২৪ অগস্ট বর্ধমান থেকে যাত্রা শুরু করেন ঠাকুরদাস। আজ বিকেল পাঁচটায় তিনি ফিরছেন নিজের ঘরে বর্ধমানে।
কেন এমন ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি?
পেশায় দিনমজুর ঠাকুরদাস ঘুরতে ভালবাসেন। যখনই সময় পান, ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। সেভাবেই এবারেও বেড়িয়েছিলেন বাড়ি ছেড়ে। করোনা আবহে বাধা মানেনি পথচলা। প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করেছেন।
কোথায় কোথায় কোনদিন ?
২৪ অগস্ট বর্ধমান থেকে যাত্রা শুরু করে একমাসের মাথায় ২৪ সেপ্টেম্বর দিল্লির মাটিতে পা রাখেন দাসু দা। দিল্লি থেকে রওনা দিয়ে ১৭ অক্টোবর মুম্বইয়ের মাটিতে পা রাখেন ঠাকুরদাস। ৭৪ দিনের মাথায় চেন্নাইতে। সেখান থেকে ‘ব্যাক টু’ কলকাতা।
আরও পড়ুন : তুলির টানে ‘লাইফ অব পুরুলিয়া’
ঠাকুরদাস দিনমজুর। শ্রমিকদের অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তিনি। পরিযায়ী শ্রমিকদের পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার যন্ত্রণাকে অস্বীকার করবেন কী করে! সেই যন্ত্রণার মলম খুঁজতেই যেন বেরিয়ে পড়া। ভবঘুরে নন ঠাকুরদাস। পরিবার আছে। নিজের দুই মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন তিনি। সমস্ত দায়িত্ব সামলে জীবনের সঙ্গে জুড়ে নিয়েছেন নিজের একান্ত ভ্রমণ। ১০১ দিনের রেকর্ড গড়ার পরেও তাই ফের পা বাড়াতে উদ্যোগী ‘ভিলেজ বাইকারসের’উদ্যোক্তা ঠাকুরদাস শাসমল ওরফে দাসু দা’।