ভোটের বাংলায় আজই দল ঘোষণা ‘ভাইজানে’র

শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী | Edited By: নির্ণয় ভট্টাচার্য্য

Jan 21, 2021 | 1:51 PM

কী বলছেন আব্বাস সিদ্দিকি? কলকাতা যাওয়ার ঠিক আগেই TV9 বাংলাকে মনের কথা জানালেন তরুণ নেতা

ভোটের বাংলায় আজই দল ঘোষণা ভাইজানের
নতুন দল ঘোষণার আগে আব্বাস সিদ্দিকি

Follow Us

হুগলি: পশ্চিমবঙ্গের নির্ণায়ক সংখ্যা লঘু ভোট ব্যাঙ্ক প্রেক্ষিতে হাইভোল্টেজ একুশের নির্বাচনে একটা বিশেষ ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করতে পারেন ফুরফুরা শিরফের আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui)। সেই তিনিই বৃহস্পতিবার নিজের দল ঘোষণা করতে চলেছেন। ইতিমধ্যে ফুরফুরা থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তিনি। বিকাল চারটেয় কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে দল ঘোষণা করার কথা তাঁর।

কলকাতা যাওয়ার পথে TV9 বাংলাকে আব্বাস সিদ্দিকি বললেন, “সবার শুভ কামনা আশা করছি। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যেন কাজ করতে পারি। ৭৪ বছর ধরে বঞ্চিত মানুষগুলো তাকিয়ে রয়েছেন। তাঁদের জন্য কাজ করতে পারি, সেটাই আশা রাখি।”

মাঝের মাত্র কয়েকটা বছরের ব্যবধান। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, একুশের নির্বাচনের আগে এই আব্বাস সিদ্দিকিকে আগের আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। আগে তাঁর মেজাজ ছিল অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। সুর চড়িয়ে প্রতিপক্ষকে বিঁধবার ভঙ্গি এখন অনেকটাই বদলেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কথায়, আজকের আব্বাস সিদ্দিকি রাজনীতির পরিসরে অনেক বেশি পরিণত। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বটে, তবে অনেকটাই শান্ত ধীর স্থির ভাবে। নমনীয়তা এসেছে চরিত্রে, আর আরও বেশি সুদৃঢ় হয়েছে রাজনৈতিক মনস্কতা।

খেয়াল রাখতে হবে, কিছুদিন আগেই আসাউদ্দিন ওয়েইসি এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। সেসময় জোটের সম্ভাবনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। ওয়েইসি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বাংলায় আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গেই হাত মেলাতে চান তিনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের কাছে স্পষ্টভাবে কিছুই বলতে চাননি আব্বাস সিদ্দিকি। শুধু বলেছিলেন, “এখনও সিদ্ধান্ত জানানোর সময় আসেনি। অনেকেই আমার সঙ্গে দেখা করছেন, অনেকেই আমাকে সামনে রেখে লড়তে চাইছেন।” অর্থাৎ তখনও নিজের দল গড়ার সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছিলেন আব্বাস।

এবার সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়েই বৃহস্পতিবার নিজের দল ঘোষণা করতে চলেছেন আব্বাস। দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের নিয়ে ১০ দলের ফ্রন্ট। একুশের নির্বাচনে ৬০-৮০ আসনে প্রার্থী দেবে আব্বাসের দল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে কিছুটা হলেও আশঙ্কায় ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তি, বিশেষ করে তৃণমূল। কারণ সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের ৩০ শতাংশ ভোটের একটা অংশ হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার বিজেপি-র তাতে ‘পৌষ মাস’ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, সংখ্যা লঘু ভোট কাটাকাটিতে বিশেষ সুবিধা পেতে পারে গেরুয়া শিবির।

আরও পড়ুন: ২৬ জানুয়ারি জঙ্গি হামলার আশঙ্কা মালদা রেল ডিভিশনের ৪ স্টেশনে, জারি হাই অ্যালার্ট

Next Article