AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মারা হলে চিনকে নয় কেন?’ অভিষেকের জাতীয়তাবাদী খোঁচা

যে ইস্যুগুলিকে হাতিয়ার করে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি (BJP) নেতারা এতদিন তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে এসেছেন, সেই ইস্যুগুলিই এ দিন হাতিয়ার হয়ে ওঠে যুব তৃণমূল (TMC) সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

'পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মারা হলে চিনকে নয় কেন?' অভিষেকের জাতীয়তাবাদী খোঁচা
ছবি- ফেসবুক
| Updated on: Mar 16, 2021 | 6:25 PM
Share

পুরুলিয়া: বিজেপির (BJP) অস্ত্রে শান দিয়েই পালটা বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। যে ইস্যুগুলিকে হাতিয়ার করে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি নেতারা এতদিন তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে এসেছেন, সেই ইস্যুগুলিই এ দিন হাতিয়ার হয়ে ওঠে যুব তৃণমূল (TMC) সভাপতির। অনুপ্রবেশ এবং জাতীয়তাবাদ, এই দুই বিষয়কে সামনে রেখেই কার্যত পালটা আক্রমণ করেন অভিষেক।

উনিশের লোকসভা ভোটের আগে থেকেই ‘ঘুসব্যাঠিয়া’ অর্থাৎ অনুপ্রবেশকারী নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করে এসেছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের শাসনকালে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়েছে বলে দাবি করে বিজেপি। ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন ফেরি করতে এসে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দাবি করেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনুপ্রবেশ বন্ধ করা হবে।

ঠিক এখানেই অভিষেকের প্রশ্ন, অনুপ্রবেশ সীমান্তে ঘটে। এবং সীমান্তে নিরাপত্তা দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অধীনস্থ বিএসএফ। তাহলে অনুপ্রবেশে জন্য দায়ী কে? অভিষেকের তোপ, “যদি অনুপ্রবেশকারী ঢোকে তাহলে তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইস্তফা দেওয়া উচিত। সীমান্ত কে পাহারা দেয়? রাজ্য পুলিশ নাকি বিএসএফ? সেটা স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৭ বছর ধরে অনুপ্রবেশকারী বাংলায় ঢুকলে রাজনাথ সিং (প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ও অমিত শাহের ইস্তফা কেন চাওয়া হবে না?”

আরও পড়ুন: মমতার হয়ে প্রচারে শরদ-তেজস্বী! বেঁকে বসল প্রদেশ কংগ্রেস

বিজেপির ভোটপ্রচারের অন্যতম হাতিয়ার জাতীয়বাদকেও এ দিন নিজের জিম্মায় তুলে নেন তৃণমূলের যুবরাজ। হুঙ্কার দেওয়ার সুরে তিনি বলেন, “ভারতের ভূখণ্ড দখল করার দুঃসাহস যে দেখাবে তাকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দিতে হবে।” এরপরই তাঁর প্রশ্ন, “অরুণাচল সীমান্তে তো চিন ঢুকে বসতি গড়ে ফেলেছে। ২০১৯ সালে বলা হল ঘুস কে মারুঙ্গা। কিন্তু, পাকিস্তানকে মারা হবে অথচ চিনকে ছেড়ে দেওয়া হবে কেন? চিন কি ভারতের বন্ধু নাকি?”

আরও পড়ুন: ‘ওয়াররুমে’ চরম ‘অস্থিরতা’, বাংলার নেতাদের দিল্লিতে জরুরি তলব শাহের