মমতার হয়ে প্রচারে শরদ-তেজস্বী! বেঁকে বসল প্রদেশ কংগ্রেস
শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) ও আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদবও (Tejaswi Yadav) তৃণমূল নেত্রীকে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন জানাতে প্রচারে নামতে চেয়েছিলেন। তবে এমনটা হোক সেটা চান না প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতৃত্ব।
কলকাতা: মৌখিক সমর্থন জানিয়েছিলেন আগেই। এ বার সশরীরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশে দাঁড়াতে প্রচারে নামতে চান এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। শুধু এই বরিষ্ঠ নেতা নন। আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদবও (Tejaswi Yadav) তৃণমূল নেত্রীকে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন জানাতে প্রচারে নামতে চেয়েছিলেন। তবে এমনটা হোক সেটা চান না প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতৃত্ব। আপত্তির কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে শরদ পাওয়ার ও তেজস্বী যাদবকে। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য।
দিনকয়েক আগেই কলকাতায় এসে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছিলেন আরজেডি প্রধান। সেই সময় তিনি প্রকাশ্যেই সমর্থন জানান, এবং একুশের বঙ্গ যুদ্ধে তৃণমূল সুপ্রিমোর পাশে থাকবেন বলে আশ্বাসও দেন। এমনকি, কলকাতায় যত বিহারের বাসিন্দা রয়েছেন তাঁদেরও তিনি তৃণমূলকেই ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাঁর দল আরজেডি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে লড়লেও তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে রাজ্যের তৃণমূলের প্রতি।
অন্যদিকে, এনসিপি প্রধান তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ পাওয়ারও বাংলা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন জানানোর কথা আগেই বলে রেখেছিলেন। তৃণমূল সূত্রে খবর ছিল, দেশের এই দুই চর্চিত রাজনীতিক এ বার তৃণমূলের হয়ে ভোট প্রচারে নামবেন। তবে এমনটা হোক সেটা কোনও ভাবেই চাইছে না প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। সেই কথা তুলে ধরে প্রদীপবাবু ই-মেল করেছেন এনসিপি ও আরজেডি প্রধানকে।
প্রশ্ন উঠছে এনসিপি বা আরজেডি যদি পৃথক ভাবে মমতাকে সমর্থন করে, সেখানে কংগ্রেসের আপত্তি কোথায়? এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের যুক্তি, বিহারে প্রধান বিরোধী দল আরজেডি-র সঙ্গে জোটে রয়েছে বাম ও কংগ্রেস। আবার মহারাষ্ট্রে এনসিপি, কংগ্রেস ও শিবসেনা জোট বেঁধে সরকার চালাচ্ছে। সেই বাম ও কংগ্রেস জোট এই রাজ্যে বিজেপির পাশাপাশি লড়ছে তৃণমূলের সঙ্গেও। ওয়াকিবহালের মতে, সেই কারণে শাসক দল তৃণমূলের হয়ে এনসিপি ও আরজেডি প্রধানরা প্রচার চালালে অন্য ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই এ বার ই-মেল করে তাঁদের প্রচার করা নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
যদিও এই প্রসঙ্গেই মনে করিয়ে দেওয়া যায়, বাংলায় ও বিহারে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের জোট থাকলেও কেরলে হতে চলা বিধানসভা নির্বাচনে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে বাম ও কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি! হেস্টিংসে বিজেপি দফতরের সামনে কর্মীদের ব্যাপক বিক্ষোভ