তমলুক: সকালে সভায় উপস্থিত ছিলেন না। সন্ধেয় অপসারিত হন। কাঁথি পুরসভার প্রশাসক সৌমেন্দু অধিকারীর (Soumendu Adhikary) বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই পদক্ষেপে যাঁরা এ দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন না, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ল। সৌমেন্দু বাদে জেলা তৃণমূল বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন না এগরা ও হলদিয়া পুরসভার প্রশাসক, এক বিধায়ক এবং এক জেলা কো-অর্ডিনেটর।
মঙ্গলবার, তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে অনুষ্ঠিত হয় জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভা। রাজ্য নেতৃত্ব হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং রাজ্যের যুব তৃণমূল সহ-সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। এছাড়াও জেলা-ব্লক-গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভার শীর্ষ স্তরের তৃণমূল নেতারা। শুধুমাত্র গরহাজির ছিলেন কাঁথি, এগরা ও হলদিয়ার পুরপ্রধান, বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল, জেলা কো-অর্ডিনেটর আনন্দময়ী অধিকারী। এনারা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল অন্দরে।
গতকাল রাতে সৌমেন্দু অধিকারীকে প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ করে তৃণমূল। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে বাকিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এ দিন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র স্পষ্ট জানিয়েছেন, দলের মধ্যে শূন্যতা পূরণ করাই হবে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। দলে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। এরপরই সৌমেন্দুকে প্রশাসক পদ থেকে অপসারণ করা হয়। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, তাহলে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বাকিদেরও কি কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে দল?
আরও পড়ুন- সৌমেন্দুর অপসারণের পরই সকাল সকাল ‘শান্তি কুঞ্জে’ হাজির বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহতো
উল্লেখ্য, বারাকপুরে এক সভায় শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারেও পদ্ম ফুল ফোটানোর চেষ্টা করবেন তিনি। আজ সকালে তাঁর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জে’ হাজির হয়েছেন হাওড়া, হুগলি ও মেদিনীপুর সাংগঠনিক পর্যবেক্ষক তথা বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহতো। এরপরই জল্পনা তৈরি হয়, অধিকারী পরিবারের কেউ ফের বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন কিনা। এখনও স্পষ্ট না হলেও, বিজেপি যেভাবে ঘুঁটি সাজাচ্ছে, জানুয়ারিতে শাহি মঞ্চে আরও এক দফা তৃণমূলীদের যোগদান হওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল।