Bankura: সমগ্র শিক্ষা মিশনে ‘দুর্নীতির’ গন্ধ, ৭৫টি স্কুলের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকায় ‘বেনিয়মের’ অভিযোগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

May 26, 2022 | 10:07 PM

Bankura: কাঠগোড়ায় বাঁকুড়ার সমগ্র শিক্ষা মিশন। ৭৫ টি স্কুলের জন্য বরাদ্দ টাকা না নিয়ে দুর্নীতির গন্ধ। সরব জেলার একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।

Bankura: সমগ্র শিক্ষা মিশনে ‘দুর্নীতির’ গন্ধ, ৭৫টি স্কুলের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকায় ‘বেনিয়মের’ অভিযোগ
ছবি - কাঠগড়ায় বাঁকুড়ার সমগ্র শিক্ষা মিশন

Follow Us

বাঁকুড়া: আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগে কাঠগড়ায় সমগ্র শিক্ষা মিশন (Samagra Siksha Mission)। বাঁকুড়ার (Bankura) ৭৫ টি স্কুলের জন্য বরাদ্দ টাকা জোর করে আটকে রাখার অভিযোগে ব্যাপাক চাপান-উতর তৈরি হয়েছে শিক্ষা মহলে। সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির অভিযোগ স্কুলগুলিকে বরাদ্দ টাকা না দিয়ে নিজেরাই কেন্দ্রীয় ভাবে টেন্ডার করে ওই কাজ করানোর চক্রান্ত করছে সমগ্র শিক্ষা মিশন। এই বেনিয়মের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকরা। কাটমানি খেতেই এই চক্রান্ত, দাবি বিরোধীদের। আগামী ৩১ মে বাঁকুড়ায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তার আগে ফের সমগ্র শিক্ষা মিশন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ায় অস্বস্তি বেড়েছে জেলা প্রশাসনের। 

শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের অন্য জেলার পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার মোট ৭৫ টি স্কুলকে চিহ্নিত করে সেগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য মোট ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মঞ্জুর করে রাজ্য সমগ্র শিক্ষা মিশন। এই টাকা থেকে প্রতিটি স্কুলকে নিজস্ব ভবন মেরামত, গেট নির্মান সহ আরও নানাবিধ কাজের জন্য মাথা পিছু ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা। পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ২০২১ -২২ অর্থবর্ষের মধ্যেই ওই টাকা খরচ করে ইউটিলাইজেশান সার্টিফিকেট জমা করার কথা জানানো হয়েছিল। ওই নির্দেশিকাতেই জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির নিজস্ব অ্যাকাউন্টে ওই বরাদ্দ টাকা দিয়ে দিতে হবে। ব্লক ও সমগ্র শিক্ষা মিশনের তত্ত্বাবধানে ওই টাকা খরচ করে স্কুলগুলি ইউটিলাইজেশান সার্টিফিকেট জমা দেবে।

এদিকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ শেষ হয়ে পেরিয়ে গিয়েছে বেশ কিছু মাস। পুরুলিয়া সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে এই টাকা সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে দিয়ে দিলেও বাঁকুড়া জেলার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত স্কুলগুলিকে সেই টাকা দেয়নি বাঁকুড়া জেলা সমগ্র শিক্ষা মিশন। স্কুলগুলির অভিযোগ, ওই টাকা না দিয়ে জেলার সমগ্র শিক্ষা মিশন নিজেরাই কেন্দ্রীয় ভাবে টেন্ডার করে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে স্কুলগুলির দাবি, সমগ্র শিক্ষা মিশন কেন্দ্রীয় ভাবে টেন্ডার করলে বরাদ্দ টাকার এক চতুর্থাংশও খরচ না করে পুরো টাকা তুলে নেবে ঠিকাদাররা। অথচ সেক্ষেত্রে এলাকার মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে স্কুলগুলিকে। 

অবিলম্বে স্কুলগুলির নিজস্ব আকাউন্টে বরাদ্দ টাকা দেওয়ার দাবিতে ইতিমধ্যেই সমগ্র শিক্ষা মিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলির আধিকারিকেরা। বিরোধীদের দাবি, কাটমানির জন্যই সমগ্র শিক্ষা মিশন নিজেরা ওই টাকা খরচ করতে চাইছে। এদিকে সমগ্র শিক্ষা মিশনের আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। বিষয়টি নিয়ে নূন্যতম তথ্য দিতেও নারাজ ওই দফতরের আধিকারিকরা। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের দাবি, বিষয়টির সঙ্গে জেলা পরিষদের কোনও সম্পর্ক না থাকলেও বরাদ্দ টাকা স্কুলগুলিকে না দিয়ে কেন আটকে রাখা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশ্রয় দেওয়া হবে না দুর্নীতিকে। যদিও মুখে এ কথা বললেও খাতায় কলমে কেন জেলা সমগ্র শিক্ষা মিশনের আধিকারিকেরা টাকা দিচ্ছেন না সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছেন সকলে।

Next Article