আলিপুরদুয়ার: তিন দিনের মাথায় অবশেষে চিতাবাঘটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করা হল। আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের শীলবাড়িঘাট এলাকায় চিতাবাঘটি সুপারি গাছে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু তাকে বাগে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল বন কর্মীদের। এ গাছ থেকে অন্য গাছে ছুটে বেড়ানোয় চিতাবাঘটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করতে বেকায়দায় পড়েন বনকর্মীরা। অবশেষে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় চিতাবাঘটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করা হয়। তারপর বনকর্মীরা জাল দিয়ে জড়িয়ে চিতাবাঘটিকে নিয়ে যাওয়া হয় জলদাপাড়ায়। জলদাপাড়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএফও পরভিন কাসওয়ান বলেন, “সফলভাবে বনকর্মীরা চিতাবাঘটিকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ করেছে। এটার প্রাথমিক চিকিৎসার পর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।”
রবিবার আলিপুরদুয়ারের শিলবাড়িঘাটে একটি চিতাবাঘ ঢোকে। ওইদিনই এলাকায় ৯ জন গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালিয়েছিল চিতাবাঘটি। তবে অল্পের জোরে সকলেই বড় ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। আহতদের মধ্যে এক জন বনকর্মীও রয়েছেন।
আহতদের শিলবাড়িহাট ও আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও বনকর্মীরা এলাকায় প্রহরা দেন। জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে চিতাবাঘটি বেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।
সোমবার এলাকারই এক গ্রামবাসীর বাড়ির পেছনে গর্তে লুকিয়ে ছিল চিতাবাঘ। জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা নিখিল পোদ্দার জানান, পুলিশ ও বনকর্মী আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আছেন। ইতিমধ্যে ২ জনকে শিলবাড়িহাড় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ৭ জন ভর্তি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে।
শিলবাড়ি ঘাটপাড় এলাকায় সুপারি গাছের মাথায় দেখা যায় চিতাবাঘটিকে। এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে বেরাচ্ছিল চিতাবাঘটি। চিতাবাঘ ধরার জন্য জাল বিছিয়ে খাঁচাও পাতে বন দপ্তর। তবে ওইসব কৌশলে সাফল্য আসেনি। মঙ্গলবার সকালে শিলতোর্সা নদীর ধারে আগের এলাকার থেকে কিছুটা দক্ষিণ দিকে চিতাবাঘ দেখতে পান বলে স্থানীয়রা দাবি করেন। এরপর একটি সুপারি গাছে চিতাবাঘটি উঠে বসে থাকে। পরে চিতাবাঘটিতে ঘুম পাড়ানি ওষুধ দিয়ে কাবু করা হয়।