AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Abhishek Banerjee: ‘এখানে আবাসে দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে আলিপুরদুয়ারে পা রাখব না’, চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

Abhishek Banerjee: "আলিপুরদুয়ারের বিজেপি নেতা কর্মীরা যদি দেখাতে পারেন, আবাস যোজনার ঘরে দুর্নীতি হয়েছে এখানকার একটা জায়গাতেও । তাহলে আলিপুরদুয়ারের আর আসব না।"

Abhishek Banerjee: 'এখানে আবাসে দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে আলিপুরদুয়ারে পা রাখব না', চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
আলিপুরদুয়ারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
| Edited By: | Updated on: Apr 27, 2023 | 3:08 PM
Share

আলিপুরদুয়ার: একুশের নির্বাচনে ভোটের সংখ্যার নিরিখে এই বিধানসভাতেই এলাকাভিত্তিক ব্যাপক ধসের মুখে পড়েছিল শাসকশিবির। সেই জমি পুনরুদ্ধার করতে মরিয়া তৃণমূল। ‘তৃণমূলের নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে আলিপুরদুয়ারের মাটিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর একে তোপ দেগেছেন অভিষেক। সেই প্রসঙ্গেই উঠে আসে আবাস যোজনা। অভিষেক বলেন, “আলিপুরদুয়ারের বিজেপি নেতা কর্মীরা যদি দেখাতে পারেন, আবাস যোজনার ঘরে দুর্নীতি হয়েছে এখানকার একটা জায়গাতেও । তাহলে আলিপুরদুয়ারের আর আসব না।” বর্তমানে একাধিক ইস্যুতে দুর্নীতি কাঁটায় বিদ্ধ শাসকশিবির। তারমধ্যে একটি আবাসযোজনা। পরিসংখ্যান বলছে, আলিপুরদুয়ারের বারোবিশা চৌপথিতে যে এলাকায় অভিষেকের সভা, সেখানকার প্রায় আশি শতাংশের বেশি মানুষই দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সদস্য। তাঁরা যা রোজগার করেন, তা ফুরিয়ে যায় সংসারের চাল নুন কেনার গার্হস্থ্য অনুশাসনেই। সেক্ষেত্রে পাকা বাড়ি তাদের কাছে বিলাসিতার সামিল। সেখানে আবাসের বাড়ির উপভোক্তার তালিকায় নাম থাকার মাপকাঠির নিরিখে ওই এলাকার প্রচুর মানুষই ‘যোগ্য’। এবং আলিপুরদুয়ারে এই নিয়ে একটিও দুর্নীতি হয় নি, দাবি করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সারি সারি অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলও এসেছে বাংলায়। কিন্তু অভিষেকের দাবি আলিপুরদুয়ার ব্যতিক্রম। সেখানে একটিও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি।

অভিষেক সেই ইস্যুটি নিয়েই এদিন সোচ্চার হন। তিনি বিরোধী নেতাদের রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করেন, যদি আলিপুরদুয়ারে আবাস নিয়ে কেউ দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে তিনি আর আলিপুরদুয়ার আসবেন না।

পাশাপাশি একশো দিনের কাজে টাকা বন্ধ করে দেওয়ার প্রসঙ্গেও কেন্দ্রকে তোপ দাগেন অভিষেক। তিনি বলেন, “আলিপুরদুয়ারের বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা চিঠি লিখে কেন্দ্র কে জানিয়েছে ১০০ দিনের টাকা যেনো না দেওয়া হয়।” তবে ‘কেন্দ্রের বঞ্চনার’ এই দায় কিছুটা হলেও আলিপুরদুয়ারবাসীর ঘাড়ে দেন তিনি। অভিষেকের কথায়, “১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার । আর লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছে রাজ্য সরকার । এর দায় আপনাদের। আপনারা এই দাবিতে ভোট দেননি । ভোট আপনারা দিয়েছেন ধর্মের ভিত্তিতে।” কেন্দ্রের কাছে বাংলার ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেন, “বাংলার টাকা গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে দেওয়া হচ্ছে। ৯ বছরে এখানে একটাও মিটিং করেনি। আমরা মিথ্যা বলে ভোট নিতে পারবো না। আমরা মানুষের স্বার্থ দেখি।”

তবে আপাদমস্তক বিজেপিকে কটাক্ষ করে দলীয় কর্মীদেরও সচেতন করেন তিনি। অভিষেক বলেন, “তৃণমূলের মধ্যে যারা খারাপ কাজের সাথে যুক্ত তাদের আমরা সরিয়ে দিয়েছি। দলে কখনই কোনও রকমের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।” আপাতত উত্তরবঙ্গে দলের ভিত মজবুত করতে মাটি আকড়ে পড়ে রয়েছেন অভিষেক। তাঁর এই সভার প্রভাব ব্যালট বাক্সে পড়বে কিনা, সেটাই দেখার।