‘এক বাপের ব্যাটা হলে ২৪ ঘণ্টায় জবাব দিন, নয়তো…’, আলিপুরদুয়ারে জমি-বিতর্কে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

TMC BJP Clash: বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল পূর্বেই অভিযোগ করেন, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অন্য়ায় ভাবে আদিবাসীদের জমি ও রবীন্দ্রভবনের সরকারি জমি দখল করেছেন।

'এক বাপের ব্যাটা হলে ২৪ ঘণ্টায় জবাব দিন, নয়তো...', আলিপুরদুয়ারে জমি-বিতর্কে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা
সাংবাদিক সম্মলনে তৃণমূল নেতা, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2021 | 8:38 PM

আলিপুরদুয়ার: অধুনা বিজেপি (BJP) বিধায়কের সঙ্গে বিরোধ আগে থেকেই ছিল প্রাক্তন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর। কিছুদিন আগে, বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন সৌরভ। পাল্টা, আদিবাসী জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। শনিবার সেই বিবাদকে কেন্দ্র করে ফের সরব হলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক।

শনিবার, একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল (TMC) নেতা সৌরভ বলেন, “বর্তমান বিধায়ক একটা জোচ্চোর প্রতারক। আমার জমি আর সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে প্রতারণার জাল ছড়ানোর চেষ্টা করছে। আজ আমি এর যা জবাব দেব, তাতে ওঁকে নাকে খত দিতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে ওকে জবাবদিহি করতে হবে।” প্রসঙ্গত, বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল পূর্বেই অভিযোগ করেন, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অন্য়ায় ভাবে আদিবাসীদের জমি ও রবীন্দ্রভবনের সরকারি জমি দখল করেছেন। অভিযোগ সেই আদিবাসী জমিতে একটি স্কুলও বেআইনিভাবে তৈরি করেছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গেই এদিন সৌরভ বলেন, “ওই জমি আদিবাসীদের নয়, সরকারেরও নয়। আমার মা-বাবার। আমার মা ওই স্কুল তৈরি করেন। তিনি প্রিন্সিপাল ছিলেন। জমিটা ২০৪৩ পর্যন্ত লিজ় নেওয়া রয়েছে। সেই জমিতেই স্কুল তৈরি হয়েছে। আর তা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি না জেনে মন্তব্য করছেন। ভাল করে পড়াশোনা না করেই ভুলভাল কথা রটাচ্ছেন। বর্তমান বিধায়ককে বলছি, শুনুন, যদি আপনার বুকের পাটা থাকে আর এক বাপের ব্যাটা হোন, তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিন। আর জবাব না দিলে ড্যাশ ড্যাশ।”

পাল্টা বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, বেআইনিভাবে জমি দখল করে স্কুল তৈরি করেছেন তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, রবীন্দ্রভবনের সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখল করে সেখানে বাড়ি বানিয়েছেন সৌরভ চক্রবর্তী অভিযোগ এমনটাই। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ঋণ সংক্রান্ত ক্ষেত্রেও আর্থিক তছরূপ করেছেন সৌরভ। কিন্তু আরটিআই করেও মেলেনি জবাব।

যদিও, এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সম্প্রতি বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন সৌরভ। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের অফিসে বসেই টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার ফাঁদ পাতা হয়। বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের ডান হাত হিসাবে পরিচিত তথা আপ্ত সহায়ক বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে মানুষকে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ সৌরভের।

বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল এ প্রসঙ্গে বলেন, “এই অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই। যিনি এই অভিযোগ তুলছেন তিনি প্রাক্তন বিধায়ক। তিনি জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার জ্বালা যন্ত্রণা এখনও ভুলতে পারছেন না। আমার কোনও আপ্ত সহায়ক নেই। কোনও নিয়োগ কর্মী নেই। কে বাইরে কী করছে তার দায় তো বিধায়ক নিতে পারেন না। বরং প্রাক্তন বিধায়কের এ ধরনের মন্তব্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ভাবে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রচার করলে তার প্রমাণ দিতে হবে।” আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রের পেগাসাস, রাজ্যসরকারের পুলিশ, নজরদারি জারি আছেই’, তোপ সূর্যকান্তের