‘কেন্দ্রের পেগাসাস, রাজ্যসরকারের পুলিশ, নজরদারি জারি আছেই’, তোপ সূর্যকান্তের

Surjya Kanta Mishra: ২০১২ সালে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম দফার সরকারের সময় 'দুষ্টু লোক?ভ্যানিশ!' কার্টুন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর অভিযোগে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্য়াপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

'কেন্দ্রের পেগাসাস, রাজ্যসরকারের পুলিশ, নজরদারি জারি আছেই', তোপ সূর্যকান্তের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2021 | 7:24 PM

বীরভূম: পেগাসাস বিতর্কে যখন উত্তাল জাতীয় রাজনীতি, তোলপাড় রাজ্যসভার বাদল অধিবেশন, সংসদ শান্তনু সেনের সাসপেনশনকে কেন্দ্র করে ‘রণং দেহি’ মূর্তি তৃণমূলের, তখন রাজ্য সরকারকেই পক্ষান্তরে নিশানা করলেন সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Surya Kanta Mishra)।

শনিবার সিউড়িতে নির্বাচন উত্তর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে এসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সূর্যকান্ত (Surya Kanta Mishra)। সেখানেই পেগসাস বিতর্কে মুখ খোলেন প্রবীণ বাম নেতা। সম্প্রতি, পেগসাস ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘এককাট্টা’ হয়েছে বিরোধী শিবিরগুলি। ২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভামঞ্চ থেকে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ফোন যেভাবে ট্যাপ করছে তাতে ফোনে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, পেগসাস বিতর্কে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টকে স্বতঃপ্রণোদিত ফয়সালা করার আবেদনও করেন তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামী হয়ে অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বও ‘প্রতীকী প্রতিবাদস্বরূপ’ ফোনে লিউকোপ্লাস্ট লাগাতে শুরু করেন। সম্প্রতি, ফোনে লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়ে শিরোনামে এসেছেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

তৃণমূলের এই প্রতীকী প্রতিবাদকে কটাক্ষ হেনে এদিন সূর্যকান্ত (Surya Kanta Mishra) বলেন, “পেগসাস তো দূরের ব্যাপার! কেন্দ্রের পেগসাস, আর রাজ্যসরকারের পুলিশ! নজরদারির তো কোনও কমতি নেই। রাজ্য সরকারের পেগসাস নেই কিন্তু পুলিশ দিয়ে নজরদারি বিদ্যমান রয়েছে। যদিও এতই বুকের পাটা থাকে তাহলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অধ্য়াপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের মামলা এখনও চলছে কেন? সত্যিই পেগসাস বিরোধীতা করতে হলে  সেই মামলা তুলে নিক রাজ্য় সরকার। এর বেলা কি গণতন্ত্রের হানি হয়না?”

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম দফার সরকারের সময় ‘দুষ্টু লোক?ভ্যানিশ!’ কার্টুন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর অভিযোগে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্য়াপক অম্বিকেশ মহাপাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছরই, তত্‍কালীন রেলমন্ত্রী মুকুল রায় ও দীনেশ ত্রিবেদীকে ইমেলের মাধ্য়মে ওই কার্টুন ফরোয়ার্ড করার অভিযোগে গ্রেফতার হন অধ্যাপক। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য়প্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

ছয় বছর আগে বাতিলও হয়ে যায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ওই ধারাটি। চলতি মাসের গোড়ায়, সুপ্রিম কোর্ট তথ্যপ্রযুক্তি আইন ব্যবহারের বিষয়ে নোটিস জারি করে। ১৫ জুলাই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সকল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ওই ধারার অধীনে থাকা সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়। অম্বিকেশ মহাপাত্রের কার্টুন বিতর্কের মামলায়,সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশানুসারে অম্বিকেশের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ খারিজ হলেও ৬৬এ ধারাটি বহাল রয়েছে। পুলিশ চার্জশিট দাখিল করলেও দীর্ঘ আট বছর এই বিশেষ মামলাটি শুনানি না হয়েই কলকাতার নিম্ন আদালতে সক্রিয় রয়েছে। আরও পড়ুন: ‘তেলে সেস কমাক রাজ্য’, পদ্মের সুরে ‘সুর’ সূর্যকান্তের?