আলিপুরদুয়ার: রান্না হয়েছে নদী পাড়ে। তারপর ভাগ বাটোয়ারা করে যে যাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু মাংসের ঝাঁঝের গন্ধ পৌঁছে যায় সরকারি কর্তাদের নাকে। পাতে মাংস পড়েছে কি পড়েনি, দরজায় টোকা! দরজা খুলতে বাড়ির বাসিন্দারা যেন ভূত দেখার মতো চমকে ওঠেন! একী ওঁরা খবর পেলেন কীভাবে? নদীতে ভেসে আসা হরিণ কেটে মাংস রেঁধে খাওয়ার সময়েই বাড়িতে পৌঁছে গেলেন বনদফতরের আধিকারিকরা। গ্রেফতার হল দুই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে অসম সীমানাবর্তী বারোবিশাতে। সোমবার রায়ডাক নদীতে বালুপাথর তোলার কাজ করার সময় একটি হরিণ ভেসে আসতে দেখেন কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গে তারা সেই হরিণের দেহ ভেসে আসতে দেখেন। অভিযোগ, সেটা টেনে আনেন পাড়ের দিকে। নদীর চরেই সেটিকে কেটে মাংস ভাগ করে যে যাঁর বাড়ি নিয়ে যান।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে, রাতে সেই মাংস রান্না করে ভোজের আয়োজনের সময় রেঞ্জ অফিসার প্রভাত বর্মনের নেতৃত্বে হানা দেয় ভলকা রেঞ্জ অফিসের বন কর্মীরা। এক বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় বাড়ির মালিক মদন বর্মনকে । খবর পেয়ে পালিয়ে যান বাকিরা। এরপর রাতে ফের অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ২১ বছর বয়সী প্রেমসাগর রাজভরকে। রান্না করা মাংস উদ্ধার করে নিয়ে যান বন কর্মীরা। দুই অভিযুক্তকে মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করবে বন দাফতর। পাশাপাশি রান্না করা মাংস ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এদিকে ভেসে আসা হরিণটি জীবিত ছিল কিনা তা নিয়ে তদন্ত করছে বনদফতর।