Alipurduar Flood Situation: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 17, 2022 | 2:13 PM

Alipurduar Flood Situation: কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর সমান জল বইছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

Alipurduar Flood Situation: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম
উত্তরবঙ্গে তুমুল বৃষ্টি

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: ভারী বৃষ্টির জেরে একাধিক ডাইভারশন ভেঙে বিপত্তি তৈরি হয়েছে আলিপুরদুয়ারে। বৃষ্টি এখনও চলছে। পাশাপাশি ফালাকাটা-আলিপুরদুয়ার সড়ক পথের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বুধবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে এলাকা। সেই কারণে নির্মীয়মাণ মহাসড়কের চরতোর্সা ডাইভারশন, বুড়ি তোর্সা নদীর ডাইভারশন ও সঞ্জয় নদীর ওপর থাকা ডাইভারশন ভেঙে গিয়েছে।

কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর সমান জল বইছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে চরতোর্সা ও বুড়িতোর্সার ডাইভারশন ভেঙে যাওয়ায় কালীপুর, বংশীধরপুর যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়েছে।

ওই এলাকার বাসিন্দারা ফালাকাটাও যেতে পারছেন না, পলাশবাড়ি বা আলিপুরদুয়ারেও যেতে পারছেন না। কৃষকরা ফালাকাটা কিষান মাণ্ডিতে জমির ফসল বিক্রির জন্য যেতে না পারায় ক্ষুব্ধ। এক্ষেত্রে প্রশাসন ও মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। একাধিক নদী তীরবর্তী এলাকায় কমলা সতর্কতা। রাতভর বৃষ্টিতে, ফুঁসছে বালাসন। বালাসন নদীর বিকল্প পথ ভেঙে বিপর্যয়। যান-চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইয়ুমথাং ভ্যালি ও লাচুংয়ের মাঝে ধস নামে। ধসে একাধিক রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই জলপাইগুড়ির সেচ দফতরে বিপত্তি ঘটে বুধবার। ফ্লাড কন্ট্রোল রুমের সবকটি টেলিফোন বিকল। ফলে তথ্য জোগাড়ে সমস্যায় পড়ছেন কর্মীরা। সিকিমে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে জল। জারি হলুদ সতর্কতা।

সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সেচ দফতরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুমের সবকটি ফোন বিকল। আর তাতেই তথ্য সংগ্রহে বিপাকে পড়ছেন সেচ দফতরের কর্মীরা। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবার পাশাপাশি বিএসএনএল-এর দফতরেও জানানো হয়েছে।

হলুদ সংকেত বহাল রয়েছে তিস্তা ও জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায়। শুক্রবার তিস্তায় আরও জল বাড়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। গত ১৫ তারিখ তিস্তা এবং ১৬ তারিখ জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সংকেত জারি করেছিল সেচ দফতর। যা আজ সকাল পর্যন্ত বহাল রয়েছে বলে সেচ দফতর কন্ট্রোল রুম সুত্রে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার সকালে তিস্তা সেচ প্রকল্পর গজল ডোবা থেকে নতুন করে ২২৩৭.৫০ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। আর এতে তিস্তায় আরও জলস্তর বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।

গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি পাতের পরিমান ঃ-

১) জলপাইগুড়ি – ৫৬.৬০ মিলিমিটার

২) আলিপুর দুয়ার – ১২৮.৪০ মি মি

৩) কোচবিহার – ৪৪.৬০ মি মি

৪) শিলিগুড়ি – ২০.৬০ মি মি

৫) মালবাজার – ৫৫.০০ মি মি

৬) হাসিমারা – ৪৯.২০ মি মি

৭) বানারহাট – ৯৬.০০ মি মি

৮) মাথাভাঙা – এখোনও পাওয়া যায়নি

৯) তুফানগঞ্জ – ৭৮.৬০ মি মি

১০) ময়নাগুড়ি – ১০৯.০০ মি মি

Next Article