আলিপুরদুয়ার: রাস্তা খারাপ, আসতে পারছে না অ্যাম্বুলেন্স। বাধ্য হয়ে খাটিয়েতে শুইয়ে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। কখনও মালদহ, কখনও মুর্শিদাবাদ, কখনও আবার পূর্ব বর্ধমান থেকে বিগত কয়েক সপ্তাহে লাগাতার এসেছে এই ছবি। কখনও বাঁচানো গিয়েছে রোগীকে, কখনও আবার শেষ রক্ষা হয়নি। এবার যেন একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল আলিপুরদুয়ারেও। অভিযোগ, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স খারাপ। সে কারণেই আর চিকিৎসা হল না অসুস্থ চা শ্রমিকের। বাড়িতেই ঢোলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। মৃতের নাম সুশীল ওরাও (৪৫)। বৃহস্পতিবার বিকালে তাঁর মৃত্যু হয়। কাজ করতেন ঢেকলাপাড়া চা বাগানে। যদিও সেটি আপাতত বন্ধ অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে।
মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাঁরা হাসপাতালে ফোন করেছিলেন। কিন্তু, হাসপাতাল থেকে জানানো হয় তাঁদের অ্যাম্বুলেন্স খারাপ হয়ে গিয়েছে। যদিও বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা রয়েছে। তারপরেও কেন পরিষেবা মিলল না সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করে দিয়েছে নানা মহলে। যদিও এ নিয়ে সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সুশীলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন থেকে বাগান বন্ধ থাকায় রীতিমতো অর্থকষ্টে ভুগছেন এলাকার চা শ্রমিকরা। তারমধ্য়ে এ ঘটনা ঘটায় নতুন করে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বানারহাটে প্রশাসনিক সভায় আলিপুরদুয়ারের বন্ধ ৪টি চা বাগান ও জলপাইগুড়ির ২ টি চাগান অধিগ্রহনের কথা বলেছেন। সেই তালিকায় সুশীলদের ঢেকলাপাড়া রয়েছে বলে খবর।