আলিপুরদুয়ার: স্কুলে নেই প্রধান শিক্ষিকা। ফলে হচ্ছে না দরকারি নথিতে সই। আর একটা কলমের খোঁচার জন্য আটকে রয়েছে স্কুলের অতিথি শিক্ষিকা, হোস্টেলের রাধুঁনী-সহ ২২ জন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর বেতন। দীর্ঘ চার মাস ধরে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে।
এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়া নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল। মামলা গড়ায় হাইকোর্টেও। হাইকোর্টের নির্দেশে গত শুক্রবার বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শান্তা মণ্ডল নামে এক শিক্ষিকার। তাঁরই বদলি সংক্রান্ত একটি মামলা চলে হাইকোর্টে। আদালত সূত্রে খবর, ২০১৯ সালের বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষিকার পদে যোগ দেন শান্তা মণ্ডল। এরপর শিলিগুড়ির অমিয় পাল স্মৃতি বিদ্যালয়ে তাঁর বদলি হয়। কিন্তু সেই স্কুলে কাজে যোগ দেন না তিনি। বদলে তিনি ফের বদলির আবেদন জানান। এরপর শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে যোগ দেন শান্তা।
এখানেই অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক প্রসূনসুন্দর তরফদার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি ওঠে। বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাঁচ বছরের আগেই বারবার শান্তা মণ্ডল বদলি কীভাবে পাচ্ছেন? এক্ষেত্রে তাঁকে গত শনিবারই বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে পুরনো পদে কাজে যোগ দানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু তা তিনি দেননি।
এক্ষেত্রে আদালত অবমাননার অভিযোগ তো উঠছেই, কিন্তু তাতে সমস্যায় পড়ছেন ওই স্কুলের ২২ জন কর্মী। সমস্যা আরও বেড়েছে। সম্প্রতি নীতা বিশ্বাস নামের এক শিক্ষিকা টিচার ইনচার্জের দায়িত্বে এসেছেন। সই নিয়ে কাজকর্ম ব্যাঙ্ক পর্যন্ত গিয়ে আটকে রয়েছে।
কবে ওই স্কুলের অতিথি শিক্ষক ও কর্মীরা বেতন পাবেন, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে পরিচালন কমিটির সদস্য ত্রিদীপ চৌধুরী বলেন, “সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত টিচার ইনচার্জ নীতা বিশ্বাস ১০ কর্মীর বেতন বন্ধের কথা জানালেও সেই সংখ্যা ২০ ছাড়িয়ে যাবে।”