চুলোয় দূরত্ববিধি, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শিবিরে দীর্ঘ লাইন! উপস্থিত পুরপ্রশাসকের উচ্ছ্বাস, ‘এ তো উৎসব!’

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Aug 24, 2021 | 4:34 PM

Duare Sarkar: ঝেঁপে নেমেছে বৃষ্টি। তবু তাঁদের পরোয়া নেই। কারও মাথায় ছাতা। কারও বা সেটাও নেই। কার্যত ভিজতে ভিজতেই ছুটে চলেছেন দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) শিবিরের সামনে।

চুলোয় দূরত্ববিধি, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শিবিরে দীর্ঘ লাইন! উপস্থিত পুরপ্রশাসকের উচ্ছ্বাস, এ তো উৎসব!
নিম্নমুখী দেশের করোনা সংক্রমণ (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: ঝেঁপে নেমেছে বৃষ্টি। তবু তাঁদের পরোয়া নেই। কারও মাথায় ছাতা। কারও বা সেটাও নেই। কার্যত ভিজতে ভিজতেই ছুটে চলেছেন দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) শিবিরের সামনে। সেখানেও লাইন লম্বা। হাতে ছাতা, মুখে নেই মাস্ক। আর অধীর দৃষ্টিতে পরিষেবার জন্য অপেক্ষা। মঙ্গলবার এমনই ছবি ধরা পড়ল আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৭ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। অন্যদিকে নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করে শিবিরে উপস্থিত হয়ে বিতর্ক তৈরি করলেন পুর প্রশাসক প্রসেনজিৎ কর।

এদিন সকাল থেকে টানা বৃষ্টি চলছে আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বৃষ্টি চলবে। তবে সেই বৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা নিতে উপচে পড়ছে মহিলাদের ভিড়। করোনা দূরত্ববিধির (Physical Distance) বালাই নেই। অনেকের মুখে নেই মাস্ক। তবে হাতে ছাতা, কেউবা ভিজতে ভিজতে দাঁড়িয়ে পড়ছেন লাইনে। স্বাভাবিক ভাবেই এতে করোনা বিধি তো উপেক্ষা হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টিতে আর কোথায় যাবেন। তাই শিবিরের দুয়ারে জাঁকাজাঁকি করে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। যুক্তি মহিলাদের। বৃষ্টি আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে এভাবেই পরিষেবার জন্য হাজির হয়েছেন তাঁরা।

এদিকে দুয়ারে সরকার শিবিরে জনপ্রতিনিধির উপস্থিতি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশ উপেক্ষা করে কেন অনেক জায়গায় নেতা-জনপ্রতিনিধিরা দুয়ারে সরকার শিবিরে উপস্থিত হচ্ছেন, এ নিয়ে সোমবারই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। তবু এই দুয়ারে সরকার শিবিরে দেখা গেল শাসকদলের নেতাদের। যদিও সেখানে উপস্থিত পুর প্রশাসক প্রসেনজিৎ করের যুক্তি, তিনি তো পুর প্রশাসক। তাই কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা, পুরসভাবাসী ঠিকঠাক পরিষেবা পাচ্ছেন কিনা সেটা দেখা তাঁর দায়িত্ব। তাই তিনি এসেছেন। তার পর করোনা পরিস্থিতিতে এই ভিড়কে তিনি মানুষের উচ্ছ্বাস এবং উৎসব বলছেন।

পুর প্রশাসকের কথায়, “আমি তো পুর প্রশাসক। ক্যাম্প দেখতে এসেছি। আমি তো আসতেই পারি। প্রশাসনের লোক রয়েছে। বাইরের লোক এসে ডিস্টার্ব করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। পুর প্রশাসক হিসেবে আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাই আমি এসেছি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের এখানে কাজ নিয়ে কোনও অশান্তি, উত্তেজনা নেই। কোনও গণ্ডগোল দেখাতে পারবেন না। সেল্ফ হেল্প গ্রুপ, পুরসভা কর্মীদের নির্দিষ্ট ব্যাচ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকে যাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম না নেওয়া হয় তার জন্য বারবার সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কাজ ভাল হচ্ছে। তাই ভিড়ও হচ্ছে।”

কোনও বহিরাগত যদি এসে অসাধু কাজ করার চেষ্টা করে তা দেখার জন্য কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। আজকের দেখুন কতো লোক! প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যেও অনুষ্ঠানের মতো আনন্দ-উৎসাহ নিয়ে জড়ো হয়েছেন। কিন্তু তিনি কেন হাজির হয়েছেন তার অবশ্য ঘুরিয়ে উত্তর দিচ্ছেন পুর প্রশাসক। আরও পড়ুন: ‘ফ্যানটা সরালেন কেনো?’ প্রশ্ন করতেই ছিঁড়ল গেঞ্জি! দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প-বিভ্রাট

Next Article