আলিপুরদুয়ার: ভাঙা সাঁকো দিয়েই দীর্ঘদিন ধরে চলছে যাতায়াত। ফলে পাকা সেতুর দাবি ছিল অনেক দিন ধরেই। এমন পরিস্থিতিতে পাকা সেতু তৈরির দাবি গ্রামবাসীদের। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুর স্থানীয় বাসিন্দাদের গলায়। পাকা সেতু তৈরি না হলে, পঞ্চায়েতে ভোট না দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন তাঁরা। ঘটনাটি আলিপুরদুয়ার জেলার দুই নম্বর ব্লকের খলসিমারী ও খাপসাডাঙা বাজারের মাঝে। এই দুই এলাকার মাঝ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ছোট্ট একটি নদী। সেই নদীর উপর দিয়েই একটি ভাঙাচোরা সাঁকো রয়েছে। নড়বড়ে ভাঙা সাঁকো। তার উপর দিয়েই গ্রামের পড়ুয়া, কৃষক, ব্যবসায়ী… সকলকে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয়দের বক্তব্য, বাঁশের ওই সাঁকোটির অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ। তাঁদের বক্তব্য, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের পর থেকেই এই নদীর উপর দিয়ে একটি পাকা সেতু তৈরির দাবি উঠছিল।
এদিকে ওই বাঁশের সাঁকোটির উপর দিয়ে এক প্রকার প্রাণ হাতে নিয়েই যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থেকে যায়। অতীতে মোটর সাইকেলে চেপে যাওয়ার পথে বেশ কিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে। শুধু তাই নয়, এই বাঁশের সাঁকো পেরিয়েই পানীয় জল আনতে যেতে হয় খলসিমারির মহিলাদের। আর বর্ষার মরশুমে সেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন এলাকায় পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে সাঁকোর পাড়ে এসে অপেক্ষায় থাকতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের হুঁশিয়ারি, পাকা সেতু না তৈরি হলে পঞ্চায়েত ভোট দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, স্থানীয়দের দাবি এর আগে তৃণমূল বিধায়ক জেমস কুজুর ওই গ্রামে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের সময় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ওই সেতুটি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পাকা সেতু এখনও তৈরি হয়নি। এই বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জলি বিশ্বাস সরকার বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আমরা প্রতি বছর একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করি। এর বেশি কিছু করতে গেলে ওপর মহলে জানাতে হবে।” এদিকে অবিলম্বে সেতু না হলে, গ্রামের মানুষজন আর পঞ্চায়েতে ভোট দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।