জলদাপাড়া: উত্তরবঙ্গে ফের বিপুল পরিমাণে লাল চন্দন (Red Sandalwood) উদ্ধার। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি ব্লকে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার প্রায় ৮০০ কেজি লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করে বন দফতর। আইপিএস অজিত সিং যাদবের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল শুক্রবার হানা দিয়েছিল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান (Jaldapara National Park) সংলগ্ন মেন্দাবাড়ি এলাকায়। সেই অভিযান থেকেই লাখ লাখ টাকার লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করা হয়। গোপন সূত্র মারফত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার অভিযান চালায় বন দফতর। সেই সময় মেন্দাবাড়ি এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে এই বিপুল পরিমাণে লাল চন্দন কাঠের সন্ধান পাওয়া যায়। ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে গতকালই পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। পরে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে আরও ১২০ কেজি লাল চন্দন কাঠের হদিশ মেলে এবং আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সব মিলিয়ে মেন্দাবাড়ির অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ৯২০ কেজি লাল চন্দন। ধৃত ছয়জনকেই শনিবার আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করা হয়। কী কারণে ওই বিপুল পরিমাণ চন্দন কাঠ মজুত করা হচ্ছিল, কোথাও পাচারের মতলব ছিল কি না, সেই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অফিসাররা। পাশাপাশি এই চন্দন কাঠের অবৈধ কারবারের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সেই সব দিকগুলিও খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
বন দফতরের সন্দেহ, এর সঙ্গে বাইরের কেউ যুক্ত থাকতে পারে। এই চন্দন কাঠের সঙ্গে এলাকার বাইরের কারও যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা মেন্দাবাড়ি ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এই লাল চন্দন কাঠের বাজারে বিশাল দাম। জলদাপাড়া ন্যাশনাল পার্কের অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন নভোজিৎ দে জানাচ্ছেন, প্রতি কেজি চন্দন কাঠ অন্তত ৫-৭ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়। কাঠের মানের উপর নির্ভর করে দাম কম-বেশি হয়। উল্লেখ্য, এর আগেও উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গা থেকে লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করা হয়েছিল।