আলিপুরদুয়ার: বোনাস নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষ ছিলই। এবার তার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ক্ষোভ বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে। বর্ধিত হারে বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক চা বাগানে। ন্যূনতম ২০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন ডুয়ার্সের কালচিনি ও রায়মাটাং চা বাগানের শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের তরফে কম বোনাস দেওয়ার কথা বলা হলেও তা মানতে নারাজ ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
পুজোর মুখে চা শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে শ্রমিক মহলের বিভিন্ন স্তরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। সেই জট কাটাতে ২ সেপ্টেম্বর একটি বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তরাই এবং ডুয়ার্স অঞ্চলের চা বাগানগুলিতে ২০ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হবে। তবে ৪৫টি চা বাগানকে রুগ্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অর্থনৈতিক অনটনের জেরে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছে এই বাগানগুলি। ঠিক করা হয়, কোন বোনাস পাবেন এই বাগানগুলির শ্রমিকরা। তার মধ্যে অন্যতম রায়মাটাং এবং কালচিনি। সমস্ত রুগ্ন বাগানগুলির মত এই দু’টি বাগানেও শ্রমিকদের ১১ শতাংশ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু কম বোনাসে খুশি নন শ্রমিকরা।
তাঁদেরও কুড়ি শতাংশ বোনাস দিতে হবে, এই দাবিতে তাঁরা বাগান ফ্যাক্টরির সামনে প্রায় এক ঘণ্টা গেট মিটিং করেন। শ্রমিকদের বক্তব্য, গতবছর ১৩.০৫ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হয়েছিল। সব বাগানে এই বছর তা বাড়লেও কমে গিয়েছে কালচিনির মত বাগানগুলিতে। ফলে গত বছরের তুলনায় কম বোনাস মানতে নারাজ শ্রমিকরা। হাজরা বিবি নামে এক চা শ্রমিক বলেন, ‘আমরা মাত্র ২ কিংবা ৩ হাজার টাকা বোনাস আমরা নিতে নারাজ। সব চা বাগানে যেমন দেওয়া হচ্ছে, তেমনভাবে আমরাও কুড়ি শতাংশ হারে বোনাসের দাবি জানাচ্ছি।’